মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরে মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি! এএসপিসহ আটক ৩


প্রকাশের সময় :২৫ আগস্ট, ২০২১ ১২:২৯ : অপরাহ্ণ

দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ


দিনাজপুরের চিচিরবন্দরে মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় রংপুর জোনের সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপারসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে সদর উপজেলার বাঁশেরহাট থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকেরা হলেন- রংপুর জোনের সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার কবির, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক।

চলতি মাসের প্রথম দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার পলাশ নামে এক ব্যক্তি সিআইডি রংপুর কার্যালয়ে চিরিরবন্দর উপজেলার জনৈক লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার একটি অভিযোগ করেন। পরে ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টায় সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি টিম লুৎফর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়িতে লুৎফর রহমানকে না পেয়ে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে মাইকোবাসে করে তুলে নিয়ে যান। পরে মা ও ছেলের মুক্তির জন্য লুৎফর রহমানের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে ভুক্তভোগী পরিবারকে সাড়ে আট লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলেন তারা। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী পরিবার বিষয়টি দিনাজপুর জেলা পুলিশকে অবগত করে।

জেলা পুলিশের পরামর্শে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে ভুক্তভোগী পরিবার প্রথমে চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দরে, পরে কাহারোল উপজেলার দশমাইলে অভিযুক্ত সিআইডি কর্মকর্তাদের আসতে বলে। পরে আবার ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন তাদের দিনাজপুর সদর উপজেলার বাশেরহাটে আসতে বলে। সিআইডি কর্মকর্তারা বাশেরহাটে এলে জেলা পুলিশ ও সিআইডি তাদের আটক করে প্রথমে চিরিরবন্দর থানায় এবং রাতে তাদের দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নেয়া হয়।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাবো।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রংপুর জোনের সিআইডির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (এসপি) আতাউর রহমান।

তিনি বলেন, আটক তিনজনের মধ্যে একজন এএসপি, একজন এএসআই এবং একজন কনস্টেবল রয়েছেন। তাদের মধ্যে এএসআই ও কনস্টেবল ২১ আগস্ট থেকে দশ দিনের ছুটিতে ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, সরকারি গাড়ি ব্যবহার না করে আমার অনুমতি ছাড়া ভাড়া করা একটি গাড়ি নিয়ে অপারেশনে যান তারা। আটক হওয়ার পর আমাকে জানানো হয়েছে। তারা যে আমাদের স্টাফ তা আমি জানিয়েছি। এর বাইরে কিছু জানি না।

ট্যাগ :