মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুন্সিগঞ্জের আড়িয়ল বিল ভরাট, নির্মাণ ও দখল বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ


প্রকাশের সময় :১৬ আগস্ট, ২০২৩ ৬:২৭ : অপরাহ্ণ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় অবস্থিত আড়িয়ল বিলের ২০১০ ও ২০২২ সালের প্রকৃত স্যাটেলাইট এরিয়াল ম্যাপ দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সচিব, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ চার বিবাদীকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে আড়িয়ল বিলে যাতে কেউ মাটি ভরাট, নির্মাণ ও দখল কার্যক্রম করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, শ্রীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালককে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে আদেশ নিশ্চিত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটে আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বুধবার (১৬ আগস্ট) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

শুনানিতে মনজিল মোরসেদ বলেন, ঢাকা শহরের বন্যা প্রতিরোধে অন্যতম ভূমিকা রাখে আড়িয়ল বিল। জলাশয় সংরক্ষণ আইন-২০০০, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫, পানি আইন-২০১৩ এর বিধান অনুসারে জলাশয় ভরাট শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তিনি বলেন, ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে জলাধার আইনের ৮ ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। তাদের নিষ্ক্রিয়তায় দিনে দিনে জনগুরুত্বপূর্ণ এ জলাভূমিটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে।

রুলে আড়িয়ল বিল সংরক্ষণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না এবং আড়িয়ল বিলে অবৈধ দখল, ভরাট, স্থাপনা অপসারণ ও বিলটি সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, গণপূর্ত সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক চেয়ারম্যান, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট), মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, শ্রীনগরের উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মতকর্তা-ওসিকে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ২২ জুলাইি একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘আড়িয়ল বিল আন্ডার থ্রেট’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ১৩ আগস্ট রিট করা হয়।

ট্যাগ :