মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আজ


প্রকাশের সময় :১৭ মার্চ, ২০২৪ ৮:১১ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:

আজ ১৭ই মার্চ বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী। সরকারিভাবে দিবসটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে উদ্যাপিত হবে। আজ সরকারি ছুটি।

১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর সাহসী ও আপসহীন নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়েই পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালি জাতি।
যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্যাপনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দলটির সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো আলাদা কর্মসূচি পালন করবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শৈশব থেকেই ছিলেন অত্যন্ত হৃদয়বান, মানবদরদি কিন্তু অধিকার আদায়ে আপসহীন। স্কুলজীবন থেকেই তাঁর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি পরিলক্ষিত হয়। তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। এ দেশের মানুষের কাছে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক ও অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমতা ছিল অপরিসীম। তাই তাঁর জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে আমরা জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করেছি। এই দিনে আমি জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং আগামী দিনের কর্ণধার শিশু-কিশোরদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।’ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব, সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব ও ঐতিহাসিক ভাষণ সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। যার ফলে আমরা পেয়েছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ।

দিবসটি উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর এবং গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সপ্তাহব্যাপী পুস্তক ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে সারা দেশে বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা হবে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।

টুঙ্গিপাড়ায় কর্মসূচি: আজ সকাল ১০টার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁরা সেখানে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজিত শিশু সমাবেশ ও আলোচনা সভায় বক্তব্য দেবেন। পরে একই স্থানে বইমেলার উদ্বোধন ও সেলাই মেশিন বিতরণ করবেন তিনি।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি: দলটির দুই দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ছয়টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাতটায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। কাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হবে আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে দিবসটি পালন উপলক্ষে দলের গৃহীত কর্মসূচি দেশবাসীর সঙ্গে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

ট্যাগ :