মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কারও আয় কমে গেলে টিআইএন স্থগিত ও বাতিল করা যাবে


প্রকাশের সময় :৩ জুন, ২০২৩ ২:২৪ : অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:

আয়কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন নেওয়ার পর কারও আয় কমে গেলে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতির সুযোগ আছে; এটিসহ আরও কিছু কারণে টিআইএন স্থগিতও করা যাবে, চাইলে বাতিলও।

সে ক্ষেত্রে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে টিআইএনধারীদের রিটার্ন জমা দিতে গেলেই কমপক্ষে দুই হাজার টাকা কর দেওয়ার বাধ্যবাধকতার যে প্রস্তাব বাজেটে করা হয়েছে তা থেকে তিনি মুক্তি পেতে পারেন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ কর প্রস্তাব করার পর এটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তিনি করযোগ্য আয় সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ করার কথা বলেছেন। আবার রিটার্ন দাখিল করলে নূন্যতম করারোপের কথাও বলছেন।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি এ করারোপকে ‘অন্যায্য’, ‘বৈষম্যমূলক’ ও অনৈতিক বলেছে। ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৮৮ লাখ টিআইএন নম্বর নিলেও হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী রিটার্ন দাখিল করেছেন ৩২ লাখ।

আয়কর আইনজীবী মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, শুধু আয় কমে গেলেই নয়; বয়সজনিত ও মৃত্যুর কারণে আয়কর সনদ বাতিল বা স্থগিত করার সুযোগ রয়েছে। সেজন্য আইনজীবীর মাধ্যমে বা তিনি নিজেই এনবিআরের নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করলে যাচাই-বাছাই শেষে সিদ্ধান্ত দেবে এনবিআর।

বাজেটের পরদিন শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি বলেছে, এতে স্বল্প আয়ের মানুষের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়বে। করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর সুবিধা তারা পাবে না।

অর্থমন্ত্রীর বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনেও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম যা বলেছেন তাতে এটা স্পষ্ট যে, তারা এ বিধান করা থেকে পিছু হটছেন না।

কাদের জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক, সেই তালিকা দেখার পরামর্শ দিয়ে এনবিআর প্রধান বলেছেন, “আপনি যেটা বললেন, সাধারণ গরিব মানুষের কোনো অসুবিধা হবে কি না, সাধারণ গরিব মানুষের তো টিআইএন বাধ্যতামূলক নয়।”

তার মতে যে ধরনের মানুষদের জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক, তাদের জন্য বছরে দুই হাজার টাকা কর বোঝা নয় গর্বের বিষয় হওয়ার কথা।

গত অর্থবছর থেকে সরকারি ৩৮টি সেবা নিতে টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়। আর টিআইএন নম্বর নিলে রিটার্ন জমা দেওয়াও বাধ্যতামূলক। নিজের আয়কর বিবরণী দাখিল না করলে জরিমানার বিধান আছে।

অনেকের প্রশ্ন এখানেই, ৩৮টি কাজের জন্য টিআইএন নিয়ে কারও আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাকেও করের বোঝা বইতে হবে কি না।

এ পরিস্থিতিতে এনবিআরের ওয়েবসাইটে আয়কর সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ও তার জবাবে টিআইএন স্থগিত বা বাতিলের সুযোগ থাকার বিষয়টি দেখা যায়।

কারও আয় কর আরোপযোগ্য সীমার নিচে নেমে গেলে নিবন্ধন বাতিলের সুযোগ আছে কি না- এমন জিজ্ঞাসায় এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “আপনার আয় আয়কর আরোপ যোগ্য সীমার নিচে নেমে গেলে এবং যদি আপনার মনে হয় নিকট ভবিষ্যতে আয়সীমা ন্যূনতম আয়কর প্রদানের আওতায় আসবে না, তাহলে আপনি সংশ্লিষ্ট সার্কেলের উপ-কর কমিশনার বরাবর টিআইএন বাতিলেন জন্য কারণ ব্যাখ্যা করে আবেদন করতে পারেন।

“উপ-কর কমিশনার অনুসন্ধান বা শুনানি এর মাধ্যমে অথবা আবেদনের উপর ভিত্তি করে আপনার টিআইএন এর কার্যক্রম স্থগিত বা বাতিল করতে পারেন।”

টিআইএন কী

কর দেওয়া শুরুর জন্য একটি নিবন্ধন নম্বর দেয় এনবিআর, যাকে আয়কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন বলা হয়। পরের বছরগুলোতে শুধু ওই নম্বরের বিপরীতে আয়কর বিবরণীতে আয়ের হালনাগাদ তথ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় কর দিতে হয়।

রিটর্না বা আয়কর বিবরণী দাখিলের পর আয়কর পরিশোধ করা হলে এনবিআরের পক্ষ থেকে একটি সনদ দেওয়া হয়-যা আয়কর সনদ নামে পরিচিত।

এদিকে ২০২২ অর্থবছর থেকে সরকারি ৩৮টির বেশি সেবা গ্রহণে রিটার্ন দাখিলের পর আয়কর সনদ জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।

টিআইএন নম্বর নিয়ে বহু মানুষ রিটার্ন জমা দেন না, যদিও জমা না দিলে আয়কর আইনে সাজার বিধান আছে। এমন টিআইএনধারীদের করের আওতায় আনতেই এ চেষ্টা সরকারের।

নির্ধারিত সময়ে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করলে, খেলাপি করদাতার সবশেষ আরোপিত আয়করের ১০ শতাংশ অথবা কমপক্ষে এক হাজার টাকা ও প্রতি খেলাপি দিবসের জন্য ৫০ টাকা- এ দুটির মধ্যে যেটি বেশি, সেই অঙ্ক জরিমানা আরোপ করতে পারবেন উপ-কর কমিশনার। এ জরিমানা অবশ্য পাঁচ হাজার টাকার বেশি হবে না।

যে যে সেবা পেতে টিআইএন বাধ্যতামূলক

গত অর্থবছরের বাজেটে সরকারি ৩৮টি সেবা পেতে হলে আয়কর রিটার্ন দেওয়ার প্রাপ্তিস্বীকার পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়।

পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র বা পোস্টাল সেভিংস কিনতে হলে;

ব্যাংক থেকে পাঁচ লাখ টাকার বেশি ঋণ নেওয়ার আবেদন করলে;

ব্যাংক জমার সুদ আয় থেকে উৎস কর কর্তনে টিআইএন সনদ থাকলে ১০ শতাংশ কাটা হয়ে থাকে। না থাকলে ১৫ শতাংশ কাটা হয়। এখন থেকে টিআইএনের পরিবর্ততে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে;

ট্যাগ :