মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মিত হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়


প্রকাশের সময় :৮ এপ্রিল, ২০২২ ৯:২৭ : অপরাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প। একসঙ্গে ৪ শতাধিক পরিবারের জন্য দৃষ্টিনন্দন ঘর নির্মাণের মহাযজ্ঞ চলছে কসবার খাড়েরা ইউনিয়নের মনকশাইর এলাকায়। গৃহহীনদের দেওয়া হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। জায়গা-ঘর যাদের নেই তাদের জন্য সরকারি খাস জমিতে গড়ে উঠছে আশ্রয়ণ প্রকল্প। এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে গৃহহীনদের জন্য পাকা ঘরের পাশাপাশি থাকবে ধর্মীয় উপাসনালয়, হাট বাজার ও প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কবরস্থান।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনী এলাকা কসবা উপজেলার চার শতাধিক গৃহহীন পরিবারকে মনকশাইরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে। ঘরের চালাগুলো জাতীয় পতাকার আদলে সবুজ ও লাল রঙে করা হচ্ছে। যা চোখে ভেসে উঠবে লাল-সবুজের একখন্ড বাংলাদেশ। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রচেষ্টায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সরকারি ১২.৩৫ একর খাস জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের জন্য ঘর তৈরির উদ্যোগ নেয় কসবা উপজেলা প্রশাসন। মাটি ভরাট শেষে গত জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয় ঘর নির্মাণের কাজ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম নিয়মিত তদারকি করছেন নির্মাণ কাজের। সরেজমিনে মনকাশাইরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি ভাবে তৈরি হচ্ছে গৃহহীনদের জন্য ঘর। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। মাঝখানের ঘরের চালাগুলো লাল রঙের ঢেউটিন এবং বাকিগুলো সবুজ রঙের ঢেউটিন দেওয়া হচ্ছে। মূলত জাতীয় পতাকার আদলেই এমনটি করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, দুই শতাংশ করে জমির ওপর নির্মিত প্রতিটি ঘরে দুইটি করে কক্ষ, রান্নাঘর ও বারান্দা এবং শৌচারগার থাকবে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া আরও ৪ হাজার টাকা মালামাল পরিবহনের খরচ ধরা হয়েছে।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম বলেন, আমাদের এ আশ্রয়ণ প্রকল্পটি দেশের সবচেয়ে বৃহৎ। এখানে একসঙ্গে চার শতাধিক গৃহহীন পরিবার থাকতে পারবে। এখানে সবধরনের নাগরিক সুবিধা পাবেন উপকারভোগীরা।

তিনি আরও বলেন, হাট-বাজার, স্কুল, খেলার মাঠ, মসজিদ-মন্দির, কবরস্থান ও পুকুরসহ সবকিছুই থাকছে মনকশাইর আশ্রয়ন প্রকল্পে। তিনি বলেন, নীলফামারী জেলা থেকে এই প্রকল্পের শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। এই কাজ শেষ করতে সাড়ে ৩ শতাধিক শ্রমিক রাত-দিন কাজ করছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান বাজারে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে চলেছে। কিন্তু আশার কথা হলো আমরা এই প্রকল্পের সকল মালামাল আগেই একসঙ্গে ক্রয় করেছিলাম, তাই এর প্রভাব এই প্রকল্পে পড়েনি। প্রতিটি নির্মাণ সামগ্রী আমরা গুণগতমাণ বাছাই করে ক্রয় করেছি।

আইনমন্ত্রী মহোদয় প্রকল্প কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ রাখছেন। যারা ঘর বরাদ্দ পাচ্ছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রকল্প কার্যালয় থেকে কর্মকর্তারা এসে পরিদর্শন করে গেছেন। জেলা প্রশাসক প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিরা প্রতিনিয়ত তদারকি করছেন। দ্রুতগতিতে কাজ চলায় আশা করছি আগামী মে মাস নাগাদ দেশের বৃহৎ এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শেষ করে ঘরগুলো গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর করতে পারবো।

ট্যাগ :