মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সজীব ওয়াজেদ জয় আধুনিক প্রযুক্তির বরপুত্র! শুভ জন্মদিন


প্রকাশের সময় :২৭ জুলাই, ২০২২ ৭:৩৪ : পূর্বাহ্ণ

এম.এইচ মুরাদঃ

বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যখন নিজেদের উন্নতির ভিত মজবুত করতে প্রযুক্তির নির্ভরতা বাড়াচ্ছিল, তখন তৃতীয় বিশ্বের এক জননেত্রী সমস্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন ঠেলে, নানান বাধা ডিঙিয়ে নিজের মাতৃভূমিকেও উন্নতদের সাথে সামিল করার স্বপ্ন দেখলেন। তার প্রখর দূরদর্শিতা তাকে তাগিদ দিচ্ছিল প্রযুক্তি নির্ভর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের।

বাংলাদেশে বসে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এমন স্বপ্ন দেখা সেই সময় ছিল রীতিমতো দুঃসাহসিক কাজ। আর যিনি দেখেছিলেন তিনি হচ্ছেন জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ দুটি শব্দে পুরো দেশকে মাত করেছিলেন—‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। বহুল ব্যবহৃত এই শব্দ যুগলের ব্যাখ্যা জনগণের ই-গভর্ন্যান্স নিশ্চিত করা। অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার। সরকারি-বেসরকারি সকল ক্ষেত্রে সেবা প্রদান এবং গ্রহণ উভয়ই হবে সহজলভ্য।

জনবহুল গণতান্ত্রিক এদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে যাবতীয় সরকারি-বেসরকারি কাজকর্ম জুড়ে যাবে ডিজিটাল পরিকাঠামোয়। সহজ হয়ে যাবে শিল্প-বাণিজ্যের রাস্তাও। আর প্রত্যন্ত গ্রামের সাধারণ জনগণও ডিজিটাল যোগসূত্রে সম্পর্ক গড়ে তুলবে বাকি পৃথিবীর সঙ্গে।

সেদিন আওয়ামী লীগের সেই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রেখেছিলেন এই দেশের দীর্ঘ সময় প্রযুক্তি বঞ্চিত মানুষগুলো। দেশনেত্রী শেখ হাসিনা পুরো জাতি নিয়ে স্বপ্নের ডানা ভাসিয়ে দিলেও বাস্তব পরিস্থিতি কিন্তু ঘোরালো; তিনি জানতেন। তবে সেক্ষেত্রে তার বড় সাহস হয়ে উঠেছিলেন তারই পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। মূলত তিনিই মূল পরিকল্পনাকারী, নেপথ্য নায়ক।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘জয় আমার কম্পিউটার শিক্ষক। তার কাছ থেকে আমি কম্পিউটার চালানো শিখেছি। অন্যদিকে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করতে জয়ের অনেক অবদান রয়েছে। যে কারণে আমি তার মা হিসাবে নিজেকে ধন্য মনে করি এবং গর্ববোধ করি।’

একজন সজীব ওয়াজেদ জয় আধুনিক প্রযুক্তির বরপুত্র। ডিজিটাল বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক। মাতামহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

মাতা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করেছেন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে। আর পূর্বসূরিদের স্বপ্নের ভার নিজের কাঁধে নিয়ে জয় অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের সারথি হয়ে।

বাস্তবতার কঠিন প্রস্তরবৎ দিকটি জয় জন্মলগ্ন থেকেই দেখে আসছেন। মুক্তিযুদ্ধের সংকটকালে তার জন্ম। বয়স সবে যখন চার পেরোলো তখনই ১৫ আগস্টের নারকীয় ঘটনা। অর্থনৈতিক, সামাজিক, নিরাপত্তা বিষয়ক সকল বিপত্তি সামলে নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকেন জয়।

ভারতের বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স পড়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পন্ন করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট থেকে লোক প্রশাসন বিষয়ে করেছেন স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

শিক্ষাজীবনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে নিজেকে একজন সফল আইটি প্রফেশনাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন জয়। তিনি হয়ে ওঠেন একজন সফল আইটি উদ্যোক্তা।

জীবন থেকে শিক্ষা এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এই দুইয়ের মিশেল জয়কে করে তুলেছে অনন্য। দৃঢ় মানসিকতা আর অবিচল নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন প্রতিনিয়ত। পিতামাতার অনুপ্রেরণা, জন্মগত দেশপ্রেম আর বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের আদর্শের প্রতি দৃঢ় ও অকৃত্রিম আনুগত্য বর্তমান জয়কে যেন প্রস্তুত করছে আগামীর জন্য।

ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করছে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘এ টু আই’ প্রকল্পসহ একাধিক মন্ত্রণালয় ও সংস্থা। এর মূল প্রবক্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা, সজীব ওয়াজেদ জয়।

জয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানের কারণেই ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবে রূপলাভ করেছে। সাবমেরিন কেবল থেকে মহাবিশ্বের স্যাটেলাইট যুগে বাংলাদেশ। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, সারাদেশে হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি, আইসিটি ইনকিউবেটর, কম্পিউটার ভিলেজ স্থাপনের কাজ চলছে।

দেশের জনগণকে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা, প্রতিটি নাগরিকের জন্য কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করা, সরকারের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিতে নাগরিক সেবা জনগণের দোরগোড়া পৌঁছানো ও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের প্রয়োজনীয় সুবিধা দানে সমন্বিতভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ।

প্রযুক্তির উন্নয়নের স্বাদ বিশেষভাবে পাওয়া গেছে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর। করোনা মহামারিতে যখন গোটা বিশ্ব টালমাটাল, মুখ থুবড়ে পড়ছিল বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি, পরিস্থিতি মোকাবিলায় এমনকি উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছিল, তখন বাংলাদেশে ডিজিটাল উদ্যোগ মানুষকে দেখিয়েছে নতুন পথ, জুগিয়েছে প্রেরণা।

দেশব্যাপী লকডাউনে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম যেন থেমে না যায় সেজন্য প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কারিগরি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করা হয়।

সংসদ, টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে দেশব্যাপী সম্প্রচার করা হয়। করোনা মহামারি থেকে দেশের জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম, ভ্যাকসিনেশনের তথ্য সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা এবং সনদ প্রদানের লক্ষ্যে ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে, যা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং দেশের জনগণ এর সুবিধা পাচ্ছে।

একজন নেতা একটি রূপকল্প সাথে নিয়ে সব জায়গায় যান এবং এটি একটি সংক্রামক চেতনার মতো যা সকলের আত্মাকে স্পর্শ করে। তারপর সকলে সেই একই চেতনা নিয়ে নেতার পাশে দাঁড়ায় এবং এগিয়ে যায়।

জয়ও ঠিক ডিজিটালাইজেশন নামক এক রূপকল্প এই দেশে ফেরি করে বেড়িয়েছেন। সংক্রামক চেতনার মতোই তা ছড়িয়ে পড়েছে দেশবাসীর মাঝে। এবার শুধু তার কাজ সামনে থেকে নির্দেশনা দেওয়া। উন্নয়নের মহাসড়কে দোর্দণ্ড প্রতাপ বখতিয়ারের ঘোড়ার বেগে ছুটছেন, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ তিনিই এঁকে দিবেন।

আজ ২৭ জুলাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য দৌহিত্র, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃতী পুত্র, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের শুভ জন্মদিন। আজকের এই দিনে তার সফলতা আর মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনের দরবারে তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। যাতে তিনি আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিকে সামনে এগিয়ে নিতে আরো বেশি ভূমিকা রাখবে পারেন।

ট্যাগ :