মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ও মহলের প্রশংসা অর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশের সময় :১২ ডিসেম্বর, ২০২১ ৭:৫৬ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশপ্রেম ও আন্তরিকতার সঙ্গে দেশের সেবা করা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে নবীন সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সক্ষমতা অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে-বিদেশে দায়িত্ব পালনে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দেখিয়ে আমাদের বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ও মহলের প্রশংসা অর্জন করেছে। এ সুনাম ধরে রাখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৮১তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স সমাপনী রাষ্ট্রপতি প্যারেডে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার পররাষ্ট্র নীতি হিসেবে আমরা ‘শান্তিতে বিশ্বাস করি, এবং সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এই পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাস করি। তবে, কখনও বাইরে থেকে শত্রুর দ্বারা আক্রান্ত হলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার সক্ষমতা আমরা এরই মধ্যেই অর্জন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) মূল আয়োজনে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী পাসিং আউট ক্যাডেটদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন। কুচকাওয়াজ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী নবীন সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের মনে রাখতে হবে, তোমরা এ দেশের সন্তান, জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই তোমাদের সবাইকে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার সমান অংশীদার হতে হবে। যেকোনো দুর্যোগ ও দুঃসময়ে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মনে রাখবে, অনেক রক্ত আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এ স্বাধীনতা। কষ্টার্জিত এ স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করা তোমাদের পবিত্র দায়িত্ব।’

শেখ হাসিনা সব নবীন অফিসারকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘আজকের এ শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তোমাদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশমাতৃকার মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে তোমাদের সজাগ এবং সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই হবে তোমাদের পেশাগত জীবনের প্রধান ব্রত।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। বিএমএতে প্রশিক্ষণের সব ধরনের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’ নির্মাণ করা হয়েছে। একটি প্রশিক্ষিত ও আধুনিক সেনাবাহিনী গঠনে এ আধুনিক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সুযোগ্য নেতৃত্ব তৈরিতে জাতির পিতা যে মিলিটারি একাডেমির স্বপ্ন দেখেছিলেন, তারই সফল বাস্তবায়িত রূপ আজকের এই বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালে প্রণয়ন করেন আমাদের ‘প্রতিরক্ষা নীতি’। আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতা প্রণীত সুদূরপ্রসারী প্রতিরক্ষা নীতির আলোকেই সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এরই মধ্যে সেনাবাহিনীতে তিনটি নতুন পদাতিক ডিভিশন এবং প্রথম প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড গঠন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে অত্যাধুনিক সাঁজোয়া যান এবং গোলন্দাজ কোরে মাঝারি ও দূরপাল্লার এমএলআরএস রেজিমেন্ট। বিধ্বংসী স্বয়ংক্রিয় সোরাড, ভিসোরাড এবং সর্বাধুনিক অরলিকন মিসাইল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আকাশ প্রতিরক্ষায় সূচিত হয়েছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। অত্যাধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও সিগন্যাল সরঞ্জামাদি ছাড়াও বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র, হেলিকপ্টার, উড়োজাহাজ, মডার্ন ইনফ্যান্ট্রি গেজেট এবং আরও নানাবিধ অস্ত্র-সরঞ্জামাদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযুক্ত হয়েছে।

এ সব অস্ত্র-সরঞ্জামের জন্য প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো সম্প্রসারণ এবং বিপুল নতুন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও নানাবিধ অস্ত্র-সরঞ্জামাদি এবং ভৌত কাঠামোর সংযোজন ও সম্প্রসারণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারীর অংশীদারত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীতে ২০০০ সালে সর্বপ্রথম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে নারী অফিসার নিয়োগ এবং ২০১৩ সালে সর্বপ্রথম নারী সৈনিক ভর্তির যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী পাসিং আউট ক্যাডেটদের উদ্দেশে বলেন, আজকের দিনটি তোমাদের জীবনে অত্যন্ত আনন্দের এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির জন্য আজ একটি স্মরণীয় দিন। তিন বছর মেয়াদি কঠোর প্রশিক্ষণ সমাপনান্তে আজ ৮১তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে বাংলাদেশসহ বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র প্যালেস্টাইন ও শ্রীলঙ্কার প্রশিক্ষণার্থীরা ‘লেফটেন্যান্ট’ হিসেবে কমিশন লাভ করতে যাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ তোমাদের সুসজ্জিত, সুশৃঙ্খল ও আকর্ষণীয় কুচকাওয়াজ দেখে আমি অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছি। এজন্য তোমাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।’

ট্যাগ :