মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বহদ্দারহাট-কালুরঘাট সড়কে দুর্ভোগের শেষ নেই


প্রকাশের সময় :১৯ জানুয়ারি, ২০২০ ৬:২৫ : অপরাহ্ণ

এম.এইচ মুরাদ:

উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে কালুরঘাট-বহদ্দারহাট সড়কে প্রায় চার বছর ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সড়কটির কোথাও একপাশ সচল থাকলেও অচল রয়েছে অন্যপাশ। অতিমাত্রায় ধুলায় অতিষ্ঠ দুর্ভোগে পড়েছে সড়কটি ব্যবহারকারীরা। ৬ মাস আগে সিটি কর্পোরেশন সড়কটি মেরামত শুরু করলেও কখন শেষ হবে সে বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি হলেও কারো চোখে পড়ছে না সাধারণ মানুষের দুর্গতি।

জানা যায়, দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ কাপ্তাই-রাউজান-রাঙ্গুনিয়া উপজেলা থেকে নগরীতে প্রবেশের সবচেয়ে পুরোনো সড়ক হচ্ছে কালুরঘাট-বহদ্দারহাট সড়ক। চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্ণফুলী ও মদুনাঘাট পানি সরবরাহ প্রকল্পের পাইপলাইন স্থাপনের জন্য ২০১৬ সালের শুরুতে আরাকান সড়কের বহদ্দারহাট থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা পর্যন্ত একপাশ গভীরভাবে কেটে ফেলা হয়। মূলত ভোগান্তির শুরু ওই সময় থেকেই। প্রায় চার বছর ধরে চারলেনের এই সড়কটির একপাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল। বন্ধ থাকা সড়কটি মাটি-আবর্জনা ফেলে ভরাটের পাশাপাশি বাস ও ট্রাকের পার্কিংয়ে পরিণত হয়। এতে করে অন্যপাশটিতে দিনের বেশিরভাগ সময়েই যানজট লেগে থাকত। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন সড়ক ব্যবহারকারী নগরীর চান্দগাঁও, মোহরার বাসিন্দা, দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ, উত্তর চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও হাটহাজারী এবং পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের লোকজন। প্রায় সাড়ে তিন বছর ভোগান্তির পর বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত আরাকান সড়কের সংস্কারকাজ শুরু করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। ৪ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়নে ব্যয় হচ্ছে ৭১ কোটি ৫৪ হাজার। চসিকের সংস্কার কাজ শুরুর পর সড়কটির কয়েকটি অংশে সিডিএ জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্পের আওতায় ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করলে নতুন করে ব্যবচ্ছেদ শুরু হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর বহদ্দারহাট-কালুরঘাট আরাকান সড়কের চান্দগাঁও আবাসিকের বিপরীতে, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল, মোহরাসহ বিভিন্ন অংশে ড্রেনের কাজ চলছে। চান্দগাঁও এলাকায় ড্রেন নির্মাণের কারণে একপাশে কাজই শুরু করতে পারেনি চসিক। তাছাড়া কয়েকটি অংশে ম্যাকাডাম করা হলেও এখনো কার্পেটিং কাজ শেষ করতে পারেনি। বিশেষত পুরাতন চান্দগাঁও থানা, আল আমীন বারিয়া মাদ্রাসা, কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার অবস্থা একেবারে বেহাল। তাছাড়া মোহরা কামাল বাজার এলাকায় সড়কের উপর বাজার বসার কারণে ভোগান্তি তীব্রতর হয় সড়ক ব্যবহারকারীদের। কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় কথা হয় বাস চালক আলী হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, চার বছর ধরে সড়কটি কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। কিছুদিন আগে নতুন করে মেরামত শুরু করা হলেও কাজ শেষ হচ্ছে না। ধুলার কারণে চলা দায় হয়ে পড়েছে। এখন ড্রেনের কাজের কারণে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালে ঢুকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

চান্দগাঁওয়ের বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম বলেন, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের চান্দগাঁও অংশের মুখে সবসময় যানজট লেগে থাকে। তাছাড়া ওখানকার একপাশ এখনো ব্যবহার উপযোগী হয়নি। তাই পূর্বপাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করে। এতে ফ্লাইওভার থেকে নামা গাড়িগুলো সবসময় দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে থাকে।

এ ব্যাপারে সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্পের পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন জানান, বর্তমান সিডিএর মেগাপ্রকল্পে যেসব ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে সবগুলোর কাজ আগামী মে মাসের মধ্যেই শেষ হবে। সর্বশেষ কার্যাদেশেও মে মাসের মাঝামাঝিতে কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম সংস্কার কাজ চলমান আছে জানিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীনুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। পরে এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সড়কটিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চলমান সংস্কার প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীনুল ইসলাম কথা বলতে রাজি হননি। তিনি জানান, গণমাধ্যমে কথা বলতে রেস্ট্রিকশন (বিধিনিষেধ) রয়েছে। পারমিশন নিয়ে আসলে কথা বলতে পারব।

ট্যাগ :