মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়া হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি


প্রকাশের সময় :১ জুন, ২০২২ ৬:০৯ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম অর্থনীতির লাইফলাইন, গেটওয়ে। চট্টগ্রামের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হয়। সেই চট্টগ্রামকে আরও গুরুত্ব দেওয়া দরকার। বন্দরকে আপগ্রেড করতে হবে। আশাকরি আগামী দুই বছরে ৮০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যপূরণ করতে পারব। চট্টগ্রামের মাটিতে অনেক বীর, আউলিয়ার দেহ রেখেছের। সাগরের মতো বিশাল মন চট্টগ্রামের মানুষের। ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি এখানে বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী।’

বাণিজমন্ত্রী বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক বাজার দায়ী। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশেও দাম বেড়ে যায়। তবে দেশে ভোজ্যতেলের দাম কমতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই পাম তেলের দাম কমেছে, আগামী কয়েকদিনের দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের দামও কমবে। ভোজ্যতেলের দাম ভারতে ১৫ টাকা বেশি, পাকিস্তানে ৩৬ টাকা বেশি। আগামী বাজেটে তেলে দাম সমন্বয় করার চেষ্টা করা হবে।’

মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম চেম্বারের মাসব্যাপী চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (সিআইটিএফ) উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে আমাদের পণ্য যাচ্ছে। ২০২৫ সালের আইসিটি ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আমাদের আয় হবে। গার্মেন্টসসহ ৪টি ক্ষেত্রে আমাদের বিলিয়ন ডলারের কোটায় এক্সপোর্ট হচ্ছে। দেশের অর্থনীতির অবস্থা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এটা অনেকে দেখেও দেখে না।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। চট্টগ্রামের রাস্তা, বন্দর , কাস্টমসের উন্নয়নের কাজ করবে সরকার। বাজারে জিনিসের দাম নিয়ে কথা উঠেছে। সারা পৃথিবীতে তেলের দাম বেড়েছে। তেলের দাম আমদানিনির্ভর । আমাদের তেল আমদানি করতে হয় ৯০ শতাংশ। আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। আমরা সাহস করে টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে তেল, ডাল, চিনি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এক কোটি মানুষকে তেল, চিনি ,ছোলা দিয়েছি সাশ্রয়ী মূল্যে। ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছে। যতদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততদিন এটি চলবে। ভর্তুকি দিতে হবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম এলে পাহাড়ের মাঝে শহর দেখতাম। সমুদ্র হাতছানি দিত। একসময় চট্টগ্রাম পর্যটননগরী ছিল। ঢাকা থেকে ট্রেন কক্সবাজার পর্যন্ত যাবে। ১৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে।’

চট্টগ্রামে বাণিজ্য মেলার স্থায়ী জায়গা নেই উল্লেখ্য করে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক রাজধানী। চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। এ মেলার মাধ্যমে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের পণ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। কিন্তু চট্টগ্রামে বাণিজ্য মেলার স্থায়ী জায়গা নেই।’

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও চেম্বার পরিচালক একেএম আকতার হোসেন।

ট্যাগ :