মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবো না: শাহবাজ শরিফ


প্রকাশের সময় :৯ এপ্রিল, ২০২২ ১০:১১ : অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

অনাস্থা ভোটে ইমরান খান হেরে যাওয়ার পর পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রধান শাহবাজ শরিফ বলেছেন, আমরা আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবো না। পেছনের সব কিছু ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।

ইমরান খানকে ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করার পর শনিবার (৯ এপ্রিল) গভীর রাতে ইসলামাবাদে এক ভাষণে এ কথা বলেন শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, ‘আমরা নিরাপরাধ মানুষকে জেলে পাঠাবো না।’ খবর জিও নিউজের।

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করার জন্য প্যানেল স্পিকার পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) নেতা আয়াজ সাদিককে ধন্যবাদ জানিয়ে শাহবাজ বলেন,‘আইন বহাল থাকবে এবং আমরা বিচার বিভাগকে সম্মান করবো।’

এর আগে কয়েক দফা মুলতবির পর দেশটির স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তানের সংসদ অধিবেশন অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। এতে ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ১৭৪টি। প্রস্তাব পাসের জন্য দরকার ছিল ১৭২ ভোট। ভোটাভুটি শেষে প্যানেল স্পিকার আয়াজ সাদিক এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এর ফলে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান।

এর আগে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টাতেই বসে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের অধিবেশন। কিছুক্ষণ না যেতেই দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তা মুলতবি করা হয়। পুনরায় অধিবেশন বসতে না বসতে আবারও মুলতবি। এভাবে তিন দফা মুলতবি শেষে ইফতারের পর অধিবেশন শুরু হয়। তবে এবারও ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির ঘোষণা এলো না। আবার বিরতি। এরপর ভোটাভুটি শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে নিজেদের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন পাকিস্তানের স্পিকার আসাদ কায়সার ও ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। এরপর প্যানেল স্পিকার আয়াজ সাদিকের সভাপতিত্বে অনাস্থা ভোট শুরু হয়।

আর্থিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী দলগুলো। এ অনাস্থা প্রস্তাবকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে ৩ এপ্রিল খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। ওই দিনই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এতে চরম রাজনৈতিক সংকটে পড়ে পাকিস্তান।

ট্যাগ :