মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমদানি ও বিদেশযাত্রার চাপে দেশে ডলারের দাম উর্দ্ধমূখী


প্রকাশের সময় :৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৪:২১ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

মহামারীতে এতদিন অতি আবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া অন্যান্য নিয়মিত পণ্য আমদানি সীমিত ছিল। বাংলাদেশসহ বেশিরভাগ দেশে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমেছে। ফলে আচমকাই আমদানি বাড়ায় দায় পরিশোধের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ডলারের দাম বেড়েছে। এছাড়া দেশে দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করায় বিদেশযাত্রার দ্বার খুলছে। বিদেশগামীরা ডলার কেনার হিড়িক পড়ায় খোলা বাজারে দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে।

দেশের ব্যাংকগুলোতে এখন নগদ প্রতি মার্কিন ডলারের মূল্য সাড়ে ৮৮ টাকা উঠেছে। আমদানি পর্যায়ের ডলারের দর উঠেছে ৮৫ টাকা ২৫ পয়সা। তবে জানা গেছে, খোলা বাজারে আরও বেশি দামে কেনা-বেচা হচ্ছে ডলার।

নগদ ডলারের মূল্য বেশিরভাগ ব্যাংকে ৮৭ টাকার ওপরে রয়েছে। কয়েকটি ব্যাংক নগদ ডলার সাড়ে ৮৮ টাকায় বিক্রি করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ২ সেপ্টেম্বর ব্যাংকগুলোর ঘোষিত মুদ্রা বিনিময় হার অনুযায়ী, নগদ ডলারের দর সবচেয়ে বেশি উঠেছে ব্র্যাক ব্যাংক, এনআরবিসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের। ব্যাংকগুলোর নগদ ডলারের দর ছিল ৮৮ টাকা ৫০ পয়সা। এছাড়া বেশিরভাগ ব্যাংকই ৮৭ টাকা থেকে ৮৮ টাকায় ডলার বিক্রি করছে। সর্বনিম্ম দরে নগদ ডলার বিক্রি করছে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ৮৫ টাকায় এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ডলারের দর ছিল ৮৫ টাকা ৬০ পয়সা।

ব্যাংকগুলোর মতো মানিএক্সচেঞ্জ হাউসগুলোও বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে বলে জানা গেছে। মতিঝিল পাইওনির এক্সচেঞ্জের এক কর্মকর্তা জানান, রোববার দিনের শুরুতে বাংলাদেশে ডলার কিনছেন ৮৭ টাকা ৫০ পয়সায় আর বিক্রি করছে ৮৭ টাকা ৭০ পয়সায়।

রোববার বেসরকারি এনসিসি ব্যাংক ৮৫ টাকা ২০ পয়সায় ডলার বিক্রি করেছে। কিনেছে ৮৪ টাকা ২৫ পয়সায়। তবে নগদ ডলার বিক্রি করছে ৮৬ টাকা ২৫ পয়সার উপরে। রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক ক্যাশ ডলার ৮৭ টাকায় বিক্রি করছে আর কিনছে ৮৪ টাকা ৫০ পয়সায়। এছাড়া আমদানি-রপ্তানিতে ডলারের বিক্রিমূল্য ৮৫ টাকা ২৩ থেকে ২৫ পয়সায়।

ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় দেশে আমদানি চাপ বেড়েছে। ফলে এর দায় পরিশোধে বাড়তি ডলার লাগছে। এ কারণে ডলারের দর বাড়ছে। তবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যাংকগুলোর চাহিদার বিপরীতে ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এদিকে, দীর্ঘদিন স্থিতিশীল থাকার পর গত মাসের শুরু থেকে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়তে শুরু করে। আগস্টে আন্তঃব্যাংক ডলারের দামে বাড়ে ৪০ পয়সা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারণ করা আন্তঃব্যাংক ডলারের দাম এখন ৮৫ টাকা ২০ পয়সা। এর আগে গত বছরের জুলাই থেকে গেল মাস আগস্ট পর্যন্ত ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল।

ব্যাংকগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) আমদানি দায় মেটাতে ব্যবসায়ীদের থেকে দেশি ও বিদেশি খাতের বেশিরভাগ ব্যাংক দাম রাখে ৮৫ টাকা ২৫ পয়সা।

হেলাল নামের খোলা বাজারের এক ডলার বিক্রেতা বলেন, ভ্রমণ কিংবা অফিসিয়াল কাজে যারা বিদেশ যান, তারাই মূলত খোলা বাজার থেকে ডলার কেনেন। এতদিন করোনার কারণে অধিকাংশ দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল। এখন আস্তে আস্তে বিভিন্ন দেশের বর্ডার খুলে দেওয়া হচ্ছে। ফলে বিদেশ যাত্রা বাড়ছে। তাই ডলারের চাহিদাও বেড়েছে।

তিনি জানান, আগস্টের শুরুতেও ৮৫ টাকায় ডলার বিক্রি করেছি। এক মাস আগের চেয়ে প্রতি ডলারে এখন দুই থেকে তিন টাকা বাড়তি রেট বলে তিনি জানান।

বাজার স্থিতিশীল রাখতে ডলার কেনায় রেকর্ড গড়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে সবমিলিয়ে প্রায় ৮ বিলিয়ন (৮০০ কোটি) ডলার কিনেছে। এর আগে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার কিনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত অর্থবছরের আগে সেটিই ছিল সর্বোচ্চ ডলার কেনার রেকর্ড। এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল রাখতে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ট্যাগ :