মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এডিস মশার প্রজনন রোধে ছাদ বাগানিদের সতর্ক থাকতে হবে: তাজুল


প্রকাশের সময় :২৫ আগস্ট, ২০২১ ৭:০৬ : অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ছাদ বাগান ও বাসা-বাড়ির ফুলের টব যেন এডিস মশার প্রজননস্থলে পরিণত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি আজ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনা সংক্রান্ত ১১তম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ আহবান জানান।

এ সময় ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকার মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর একটু আগেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে, বৃষ্টির পরিমাণও বেশি এবং থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে যেখানে সেখানে পানি জমছে।

তিনি বলেন, আবার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় নিয়মিত পরিষ্কার করতে না পারায় এ সকল স্থাপনায় মশার প্রজনন হচ্ছে।

ছাদ বাগান বা ফুলের টবে নিয়মিত পানি অপসারণ করতে না পারলে মশার কীটনাশক অথবা কেরোসিনের তেল ব্যবহার করার পরামর্শও দেন তিনি।

তাজুল বলেন, নিজের বাসা মশামুক্ত রাখার পরেও পাশের বাসার এডিস মশার কামড়ে কেউ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হবে অথবা মৃত্যুবরণ করবে এটা মেনে নেয়া হবে না। প্রতিটি মৃত্যুই দুঃখজনক, একটি মৃত্যুকেও ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তিনি বলেন, তাই নগরবাসীকে এব্যাপারে আরো বেশি সচেতন থাকতে হবে ডেঙ্গু রোগে যাতে একটি মানুষও মৃত্যুবরণ না করে। অনেক অভিজাত ও শিক্ষিত লোকের বাসায় মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

মন্ত্রী বলেন, এডিস মশা নিধনের লক্ষ্যে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে যে কোনো কোম্পানি বিদেশ থেকে কার্যকর কীটনাশক আমদানি করতে পারছে। আগে একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান কীটনাশক আমদানি করত।

তিনি বলেন, সেই ধারা ভেঙ্গে দিয়ে এখন অনেক কোম্পানিকে কীটনাশক আমদানি করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এসব কীটনাশক সহজলভ্য করার জন্য বাজার উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মশক নিধন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করার বিষয়টি নিয়ে সরকার এখন ভাবছে না। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকা, ফাইলেরিয়া, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বরসহ বিভিন্ন কীটবাহিত সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধে ‘ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট সেল’ বা রোগ সংক্রামক কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা সেল গঠন করার কাজ চলছে।

তিনি বলেন, এডিস মশা এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে শুধু রাজধানী বা মহানগরী নয় দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষকে মশামুক্ত রাখতে ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্টের কাজ শুরু করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি সমন্বয়ক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ।

ট্যাগ :