মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একদল ব্যাঙ লাফিয়ে যাচ্ছিল, হঠাৎ দুইটি ব্যাঙ বড় একটি গর্তে পড়ে যায়! জীবন বদলে দেওয়া গল্প


প্রকাশের সময় :১১ মে, ২০২০ ৩:১০ : পূর্বাহ্ণ

মো: সেলিমঃ

একদিন একটি বড় কাঠের উপর দিয়ে একদল ব্যাঙ লাফিয়ে যাচ্ছিল। যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে দুইটি ব্যাঙ বড় একটি গর্তে পড়ে যায়। এ ঘটনার পরে অন্য ব্যাঙগুলো সবাই গর্তের নিকটে আসলো এবং তাদের বলতে লাগলো, “তোমরা মৃত্যুর মুখেই পতিত হবে। যত চেষ্টা কর না কেন কোনদিনই ওই গর্ত থেকে উঠতে পারবে না!”

গর্তে যে দুইটি ব্যাঙ পড়ে গিয়েছিলো তাদের মধ্যে একজন উপরের ব্যাঙদের বলা কথাগুলো শুনে প্রচন্ড হতাশ হয়ে পড়ল এবং বিশ্বাস করেই বসল যে, সে কোনদিনই গর্ত পেরিয়ে উপরে উঠতে পারবেনা ও মৃত্যু বাদে তার আর কোন রাস্তা নাই! এমনকি সে চেষ্টা করাও বন্ধ করে দিল।

কিন্তু গর্তে পড়া অন্য ব্যাঙটি শুরু থেকেই বিরামহীন চেষ্টা করে যাচ্ছে। যদিও প্রত্যেকবারই অল্পের জন্য সে উঠতে পারছিলনা। তার এই চেষ্টায় সতীর্থদের সহায়তা বা অনুপ্রেরণা ছিলো না। উল্টো গর্তে পড়ে যাওয়া ব্যাঙ দুটিকে তারা নিরুৎসাহিত করে বারবার বলছিল, “এত চেষ্টা করে কি হবে! তোমাকে দিয়ে কিছু হবেনা।বৃথা চেষ্টা না করে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও।”

হয়ত ঐ দুটি ব্যাঙ গর্তেই মরে যেতে পারত।গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারত।কিন্তু তা হয়নি! উপরের ব্যাঙগুলোর সমস্ত কথা মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে অনবরত চেষ্টা করতে থাকা ব্যাঙটি একসময় ঠিকই উপরে উঠে আসতে সক্ষম হল এবং তার বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বললঃ “পুরো সময় জুড়ে তোমরা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছ বলে অনেক ধন্যবাদ।তোমাদের অনুপ্রেরণাই আমাকে বারবার চেষ্টা করার শক্তি দিয়েছে যার ফলে শত বাঁ’ধা পেরিয়ে আমি উপরে উঠে আসতে সক্ষম হয়েছি!”অন্যদিকে গর্তের দ্বিতীয় ব্যাঙটি আর উপরে উঠতে সক্ষম হয়নি।সে শেষমেষ মারা যায়।

প্রিয় পাঠক, এখন ভাবুন তো, এ গল্পে শিক্ষণীয় কী’ আছে? হ্যাঁ, যা শেখার আছে, তা হলো- আসলে উপরে উঠতে সক্ষম হওয়া ব্যাঙটি ছিল বধির।উপরে তার সতীর্থদের এত কথা-বার্তা কিছুই সে বুঝতে পারেনি।সে মনে করেছে উপর থেকে তাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে যদিও তাকে নিয়ে কৌতুক করা হচ্ছিল।

আসলে অন্যের বিপদের সময় আমরা অনেকেই না বুঝে মন্তব্য করে বসি। যা হয়ত মানুষটিকে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন এমনকি মৃত্যুর দিকেও ঠেলে দিতে পারে। তাই এ ধরণের সিচুয়েশনে ভেবে চিন্তে কথা বলতে হবে।

আপনার একটা সংবেদনশীল মন্তব্য অন্যের জীবনে মারাত্নক প্রভাব ফেলতে পারে।অনেক সময় এটা বাঁচা ও মরার কারণ হতে পারে। যেমনটা আমরা দ্বিতীয় ব্যাঙটির ক্ষেত্রে দেখেছি। তার বন্ধুদের কথা তার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ছিলো বলেই সে আর গর্ত থেকে উপর উঠতে পারেনি।তাকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়েছিল।

ট্যাগ :