মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আপনিও একজন সফল ও গুরুত্বপূর্ণ মানুষ


প্রকাশের সময় :৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ৯:১০ : অপরাহ্ণ

এম.এইচ মুরাদঃ

আজ থেকে মাত্র কয়েক বছর আগেও আমি নিজেকে ব্যর্থ, অবাঞ্চিত এবং জীবনযুদ্ধে পরাজিত একজন সৈনিক মনে করতাম। অথচ আজ আর আমি নিজেকে ব্যর্থ বা পরাজিত মনে করি না। বরং নিজেকে জীবন নামক পাঠশালা’র একজন অনুসন্ধিৎসু শিক্ষার্থী মনে করি। আর এ কারনেই যারা নিজেকে ব্যর্থ এবং জীবন যুদ্ধে পরাজিত মনে করেন তাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরনা প্রদানের উদ্দেশ্যে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আশা করি আমার নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে রচিত এই লেখাটি ধৈর্য সহকারে পড়তে পারলে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।

আমি একজন কয়েদীর কথা জানিঃ

যিনি কয়েদী নাম্বার ৪৬৬৬৪। ২৭ বছর জেলে থাকার পরেও উনি নোবেল শান্তি পুরষ্কার জিতেছেন।

  • তিনি “নেলসন মেন্ডেলা”।

আরেক পিতৃপরিচয়হীন যুবকের কথা জানিঃ

যার থাকার কোনো রুম ছিল না তার, বন্ধুদের রুমের ফ্লোরে ঘুমাতেন। ব্যবহৃত কোকের বোতল ফেরত দিয়ে পাঁচ সেন্ট করে কামাই করতেন, যেটা দিয়ে খাবার কিনতেন। প্রতি রোববার রাতে তিনি সাত মাইল হেঁটে হরেকৃষ্ণ মন্দিরে যেতেন শুধু একবেলা ভালো খাবার খাওয়ার জন্য।

  • তিনি অ্যাপল, নেক্সট এবং পিক্সার অ্যানিমেশন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও- “স্টিভ জবস”।

আরেক যুবকের নাম জানিঃ

মধ্যবিত্ত পরিবারে যার জন্ম। তাঁকে বলা হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সফল ড্রপ আউট। স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ নম্বরে ১৫৯০ পান তিনি। কিন্তু কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরির নেশায় তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাম কাটান। ড্রপ আউট হওয়ার ৩২ বছর পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন তিনি।

  • তিনি “বিল গেটস”।

আরেক এতিমের কথা জানিঃ

যিনি ১১ বছর বয়সে এতিম হয়েছিলেন। ১২ বছর বয়সে ঘর থেকে পালিয়ে যান। হতাশ হয়ে ১৯ বছর বয়সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অনেক বিখ্যাত বইয়ের লেখক তিনি তার মধ্যে “আমার বিশ্ববিদ্যালয়” একটি, যদিও তিনি কোন দিন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার সুযোগ পান নাই।

  • তিনি বিখ্যাত লেখক, নাট্যকার আর রাজনীতিবিদ “মাক্সিম গোর্কি”।

একজন মুদি দোকানীর কথা জানিঃ

যিনি বাবার সাথে মুদি দোকান বসতেন। পরিবারের এতই অভাব ছিলো যে- স্কুল নাগাত পড়েই তাকে থেমে যেতে হয়েছিলো। সেই ব্যাক্তিই একসময় হয়ে উঠে বিরাট বিপ্লবী নেতা।

  • তিনি চীনের প্রতিষ্ঠাতা “মাও সেতুং”।

একজন অভাবী ব্যক্তির কথা জানিঃ

যেই ব্যক্তি অভাবের তাড়ানায় কুলিগিরি করতো। একদিন বাসের কন্ডাক্টরের কাজের জন্য গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। যে যুবকটি অংকে পারদর্শী নয় বলে বাসের কন্ডাক্টর হতে পারেনি, পরবর্তীতে সে-ই হয় ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী।

  • উনার নাম “জন মেজর”।

আরেক গরিব ছেলের কথা জানিঃ

যার বাবা-মা এতই গরিব ছিলো যে, তার জন্মের পর নাম রেজিস্ট্রি করতেই দু’দিন দেরি হয়। কেউ কি জানেন? সে-ই আজকের ফুটবল কিংবদন্তী!

  • যার নাম “রোনাল্ডো”।

আরেকজনের কথা জানিঃ

যার বাবা ছিলো জেলে। ছেলেকে সাথে করে বাবা মাছ ধরতো কারন অন্য স্বাভাবিক আর ১০ জন থেকে তিনি পানির নিচে মাছকে খুব ভাল ভাবে দেখতে পেতেন। সেই জেলের ছেলে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট সুপারস্টার।

-যার নাম “জয়সুরিয়া”।

আরেকজন ব্যক্তি ছিলেনঃ

যিনি পড়ালেখায় মারাত্মক দুর্বল ছিলেন। কোন কিছু মনে থাকত না। ক্লাস এর শেষ বেঞ্চে বসে থাকেন। ফেল করেছেন বারবার। ক্লার্ক এর চাকরিও করছেন তিনি। পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছেন তিনি তার থিউরি অফ রিলিটিবিটি দিয়ে। নোবেল ও জিতেছেন তিনি।

  • তার নাম আলবার্ট আইনস্টাইন ।

একজন দুর্বল ছাত্রের কথা জানিঃ

ক্লাস এর সবচেয়ে দুর্বল ছাত্র ছিলেন তিনি। স্কুল থেকে বহিস্কারও করা হয়েছে তাকে। পৃথিবী তিনি আলোকিত করেছেন তার আবিষ্কার দিয়ে।

  • তার নাম “টমাস আলভা এডিসন”।

একজন প্রতিবন্ধি ব্যক্তির কথা জানিঃ

উল্টা লিখতেন তিনি শব্দগুলোকে। পড়ালেখায় একদন শুন্য। উড়োজাহাজ আবিস্কারের ৪০০ বছর আগে তিনি উড়োজাহাজের মডেল এঁকে গেছেন।

  • তিনি “লিওনার্ড ডা ভিঞ্চি”।

আরেকজন খুব দুর্বল ছাত্র ছিলেনঃ

পরীক্ষায় তিনি সব সময় ফেল করতেন। ২২ টা একাডেমিক পুরষ্কার জিতেছেন জিবদ্দশায়। তিনি মিকি মাউস, ডোনাল্ড ডাক এর জন্মদাতা। মিকি মউসের গলার স্বর তার নিজের দেওয়া।

  • তিনি “ওয়াল্ট ডিসনি”।

একজন নিতান্ত বোকা ব্যক্তি ছিলেনঃ

শব্দের খেলা তিনি বুজতেন না। ইংরেজি সেভেন(7) কে তিনি বলতেন উল্টা নাক!!!! এই স্প্যানিশ ভদ্রলোক একজন কবি, লেখক, পেইন্টার, কেমিস্ট, স্টেজ ডিজাইনার, ভাস্কর।

  • তিনি “পাবলো পিকাসো”।
    …. …. …. …. …. …. …. …. …. …. …. …. …. …. ….

পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষই ইউনিক, তার ভাবনাগুলি তার মতই। সবাই যা পারে, আমাকেও তা-ই পারতে হবে, এমন কিছুতো নয়। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে নিজেকে প্রমান করতে হবে কেন? আমাদের সমস্যাটা ওখানেই। আমাদের প্রত্যেক ঘরে ঘরে Toppers আর Rankers চাই। সবাইকেই ডাক্তার, ইঙ্গিনিয়ার, ব্যারিস্টার, ম্যাজিস্ট্রেট…… হতেই হবে!!!! আঙ্গুলকে টেনে লম্বা করতেই হবে, যে ভাবেই হোক……দরকার হলে আঙ্গুল ভেঙ্গে যাক না কেন!!! একটা কথা মনে রাখবেন- “পৃথিবীতে সবাই জিনিয়াস, কিন্তু আপনি যদি একটি মাছকে তাল গাছ বেয়ে ওঠার ক্ষমতা দিয়ে বিচার করেন, তবে সে সারাজীবন নিজেকে অপদার্থই ভেবে যাবে”।

মনে রাখবেন- “ব্যর্থতা মানেই পরাজয় নয়, যাত্রা পথ একটু দীর্ঘ হওয়া মাত্র।” সবসময় মাথায় রাখবেন আপনিও একজন সফল ও গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। সেটি হতে পারে আপনার কাছে আপনি বা আপনার পরিবারের কাছে বা আপনার জীবনসঙ্গির কাছে বা হতে পারে আপনার আপন পর, চেনা অচেনা মানুষের কাছে। ভেবে দেখেন পৃথিবীর অসংখ্য সেক্টরে যে কোন একটি জায়গায় আপনি অবশ্যই সফল। কে কি বলল এটা না ভেবে যে কাজটি করতে আপনি সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন সেই কাজটি নিয়ে আপনি সামনে আগাতে থাকেন, দেখবেন একদিন আত্মতুষ্টি নিয়ে সফলতা নিজ থেকে আপনাকে ধরা দিবেই। আর আপনি যখন সত্যিকার অর্থে সফল হবেন তখন যে মানুষগুলো আপনার হতাশা বা ব্যর্থতা নিয়ে হাসাহাসি করেছিলো তারাই আপনার কাছে এসে নতজানু হয়ে পায়দা লুটার চেষ্টা করবে। আশা করি এই বিষয়টা দেখার জন্য হলেও হতাশ না হয়ে কাজে আরও আগ্রহী হয়ে সফলতাকে আলিঙ্গন করবেন।

আপনি যখন জিতে যাবেন তখন আপনার চারপাশে সবাই জিতে যাবে। সেই মুখগুলো আপনাকে নিয়ে খুব গর্ব করবে একদিন যে মুখগুলো আপনাকে দেখলে কালো হয়ে যেতো। অনেক অপরিচিত মুখও আপনার কাছে পরিচিত হয়ে যাবে। এমন অনেক জায়গা থেকে আপনার নাম্বারে ফোন আসবে যাদের নামও আপনি শুনেন নাই। আপনি হবেন সবার মধ্যমণি।

ট্যাগ :