স্পোর্টস ডেস্ক:
অনেকটা দেরিতেই পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে আসিফ আফ্রিদির। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তার মাথায় যখন অভিষেক ক্যাপ পরানো হচ্ছিল, তখন বয়সটা দাঁড়ায় ৩৮ বছর ২৯৯ দিনে। যদিও তিনি পাকিস্তানের অভিষিক্ত ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বিতীয় বয়োজ্যষ্ঠ। এদিকে, নিজের অভিষেক টেস্টেই ৫ উইকেট শিকার করে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন আসিফ আফ্রিদি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ৩৩৩ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। এরপর নিজেদের ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৮৫ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল এইডেন মার্করামের দল। আজ (বুধবার) তৃতীয় দিনে খেলতে নেমে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে সফরকারীদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৮৫ রান। এখন পর্যন্ত ইনিংসটিতে পাকিস্তানের পক্ষে আসিফ আফ্রিদি ৩০ ওভারে ৬১ রানে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নিয়েছেন।
৩৮ বছর বয়সী এই বাঁ-হাতি অফস্পিনার পাকিস্তানের চতুর্থ বোলার হিসেবে আক্রমণে আসেন। প্রোটিয়াদের দুই সেট ব্যাটার ত্রিস্তান স্টাবস ও টনি ডি ডর্জিকেই ফিরিয়েছেন আসিফ। স্টাবস ৭৬ ও ডি জর্জি ৫৫ রানে তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। পরবর্তীতে আসিফ আফ্রিদি একে একে তুলে নেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, কাইল ভেরাইনে ও সিমন হারমারের উইকেট। উইকেটের ফাইফার পূর্ণ করতেই ৯২ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন আসিফ।
এর আগে সবচেয়ে বেশি বয়সে অভিষিক্ত বোলার হিসেবে টেস্টে ফাইফার নেওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের চার্লস ম্যারিওট। যাকে ‘ফাদার ম্যারিওট’ নামেও ডাকা হয়। ১৯৩৩ সালে ৩৭ বছর ৩৩২ দিন বয়সে ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এতদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বয়সী হিসেবে অভিষেক টেস্টে ফাইফারের রেকর্ডটি ম্যারিওটের দখলে ছিল। আজ সেটি নতুন করে লিখলেন আসিফ আফ্রিদি।
আসিফের আগে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে অভিষেক টেস্টে ফাইফারের রেকর্ড গড়েছিলেন নোমান আলি। ওই সময়ও প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২০-২১ মৌসুমে করাচিতে ৩৪ বছর ১১১ দিন বয়সে অভিষেক টেস্টে নোমানের বোলিং ফিগার ছিল ৩৫/৫। এদিকে, পেসার হিসেবে সবচেয়ে বেশি বয়সে অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট শিকার করেন ইংল্যান্ডের হাইন্স জনসন।
সর্বোচ্চ বয়সী হিসেবে অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট
৩৪ বছর ২৯৯ দিন – আসিফ আফ্রিদি – ৪৬/৫* (এখনও চলমান) – ২০২৫/২৬
৩৭ বছর ৩৩২ দিন – চার্লস ম্যারিওট – ৩৭/৫ ও ৫৯/৬ (দুই ইনিংসে) – ১৯৩৩
৩৭ বছর ২৫৮ দিন – হাইন্স জনসন – ৪১/৫ ও ৫৫/৫ (দুই ইনিংসে) – ১৯৪৭/৪৮
৩৭ বছর ১৪৫ দিন – ডগলাস কার – ১৪৬/৫ – ১৯০৯
৩৪ বছর ২০৮ দিন – জর্জ সিম্পসন-হেওয়ার্ড – ৪৩/৬ – ১৯০৯/১০