বাংলাদেশ, রোববার, ২ নভেম্বর ২০২৫ ১৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক অপমানের অভিযোগ আনসার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে


প্রকাশের সময় :১ নভেম্বর, ২০২৫ ৩:৪১ : অপরাহ্ণ

বিশেষ প্রতিনিধি, ঝিনাইদহঃ-
ঝিনাইদহের মহেশপুরে সাংবাদিকের প্রতি অশোভন আচরণ ও অশালীন ভাষা ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মহেশপুর উপজেলার আনসার ও ভিডিপি সদস্যের জন্য বরাদ্দ পাওয়া একটি পাকা ঘর নির্মাণকাজে রঙিন টিনের পরিবর্তে নিম্নমানের সাদা টিনে রং করে ব্যবহারের অভিযোগ পান কালবেলার উপজেলা প্রতিনিধি শামীম খান জনী। তিনি শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সরেজমিনে দেখতে গেলে সেখানে উপস্থিত আনসার কর্মকর্তা খুশি খাতুন সাংবাদিককে দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ ভাষায় কথা বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

পরে সাংবাদিকের উপস্থিতিতে তিনি মোবাইলফোনে উপজেলা সহকারী মহিলা আনসার প্লাটুন কমান্ডার রেবেকা খাতুনকে ফোন করে বলেন, “হারামজাদা সাংবাদিক এখনো আছে না চলে গেছে? আপনি কি হারামজাদা সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে আমার সঙ্গে কথা বলছেন?”— এমন ভাষায় একাধিকবার গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

সাংবাদিক শামীম খান জনী বলেন, “সাংবাদিকদের কাজ হলো সত্য তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরা, আর সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা। কিন্তু খুশি খাতুন বরাবরই উল্টো আচরণ করে আসছেন। অতীতে তার বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়া ও অনিয়ম–দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবারও তিনি আমাকে গালিগালাজ ও অশোভন আচরণ করেছেন। আমি তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও দ্রুত বদলি দাবি করছি।”

প্রসঙ্গত, গত ২২ সেপ্টেম্বর “মহেশপুরে আনসার সদস্যকে দেওয়া পাকা ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতি” শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের পর জানালাগুলো পরিবর্তন করা হলেও টিনের অনিয়ম ঠিক করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, বরাদ্দের রঙিন টিনের পরিবর্তে সাদা টিনে রঙ করে তা স্থাপন করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “তিনি কিসের সাংবাদিক? আমাকে তো কোনো আইডি কার্ড দেখাতে পারেননি।”

এস বি/ সি এস

ট্যাগ :