আত্মসাৎকৃত অর্থ ৫ কর্ম দিবসে স্কুলের একাউন্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ
মিরসরাই প্রতিনিধি :
মিরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন ভূঁঞার বিরুদ্ধে ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫১০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৬ অক্টোবর বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলীর স্বাক্ষরিত এক স্মারকে (নং: মি বাউবি/মীর/০৬/৯৭/২০২৫) এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দিন ভূঁঞার পেশাগত অসদাচরণ, আর্থিক অনিয়ম, দুর্ণীতি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশালীন আচরণসহ নৈতিকস্খলনের অভিযোগে গত ৪ জুন থেকে সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন। পরবর্তীতে তদন্ত ও নিরীক্ষা শেষে তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট প্রতিষ্ঠান মাহমুদ সবুজ অ্যান্ড কোং (এনরোলমেন্ট নং-০৮৮৮) ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনের নিরীক্ষা সম্পন্ন করে। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে মোট ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫১০ টাকা ০৫ পয়সা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আত্মসাতকৃত টাকা আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে জনতা ব্যাংক পিএলসি, মিরসরাই শাখার (একাউন্ট নং: ৫২৫০/৮) বিদ্যালয়ের সাধারণ হিসাব নম্বরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মিরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দিন ভূঁঞার আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা রক্ষায় আমরা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দিন ভূঁঞা বলেন, ‘ফইনাল অডিট রিপোর্ট এখনো দেওয়া হয়নি। খসড়া কপি প্রচার করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অডিট চলাকালে আমার সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি। এক তরফা অডিট করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘মিরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দিন ভূঁঞার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আপিল এন্ড আরবিট্রি কমিটি বছরে একবার বা প্রয়োজনে একাধিকবার শুনানি করে। আমি সেই কমিটির প্রধান। আমরা শিগগিরই শুনানির আয়োজন করব। শুনানি থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’