বাংলাদেশ, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৩ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কৃষি অফিসের নজরদারির অভাবে কুষ্টিয়ায় কমছে সুপারি চাষ


প্রকাশের সময় :২৯ অক্টোবর, ২০২৫ ২:৪১ : অপরাহ্ণ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়ার ছয়টি উপজেলার মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ উপজেলা খোকসা—পান ও সুপারির প্রাচুর্যের জন্য বহু পুরোনো ঐতিহ্য বহন করে আসছে। কিন্তু ধান ও পাট উৎপাদনে সরকারের সক্রিয় তদারকি থাকলেও উপজেলার অন্যতম অর্থকরী ফসল সুপারির ক্ষেত্রে নেই কোনো সরকারি নজরদারি বা সহায়তা। এতে হতাশ চাষিরা। সরকারের সহযোগিতা ও প্রণোদনা কামনা করেছেন তারা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরে ১ হেক্টর জমিতে প্রায় ৮ মেট্রিক টন কাঁচা-পাকা সুপারি উৎপাদন হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড়ে ৭ থেকে ৮ মেট্রিক টন কাঁচা সুপারি ফলন হয়। শুকানোর পর যা ৫ মেট্রিক টনে দাঁড়ায়।

চাষিদের অভিযোগ, আগে নিজেদের প্রচেষ্টায় এই ফসল বাণিজ্যিক পর্যায়ে নিয়ে এলেও কৃষি বিভাগের কোনো তদারকি, প্রশিক্ষণ বা গবেষণা কার্যক্রম নেই। ফলে রোগবালাই ও বিপণন সমস্যায় উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। এখন সুপারি চাষ প্রায় শূন্য কোঠায়।

উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের চাষি ভিক্টর বিশ্বাস বলেন, “কয়েক বছর আগে আমার দেড় একর জমিতে ১ হাজার ৫০০টি সুপারি গাছ ছিল। পাতার রোগে শতাধিক গাছ মারা গেছে। কৃষি অফিসে গিয়েও কোনো সহায়তা পাইনি।”

আমবাড়িয়া ইউনিয়নের চাষি সাবু আলম বলেন, “আমরা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে চাষ করি। ফলন বাড়ানো বা রোগ দমন নিয়ে কেউ আসে না। সরকারি সহযোগিতা পেলে উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব।”

চাষিরা জানান, স্থানীয়ভাবে সুপারি বিক্রি হয় আকার অনুযায়ী। আকার ভেদে প্রতি’শ সুপারি বিক্রি হয় ৩ থেকে ৫’শ টাকায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল নোমান দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, “সুপারির উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করে চলেছি।”

ট্যাগ :