স্টাফ রিপোর্টারঃ
৩০ ডিসেম্বর দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নির্ধারিত সূচি থাকলেও তা হচ্ছেনা। ইন্টারনেট ও সার্ভার সমস্যা বিবেচনায় অনলাইনে ভর্তির জন্য আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা সাত কার্যদিবস বাড়াতে হাইকোর্টের নির্দেশের পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
চট্টগ্রামে নগরীতে এবার ১০টি সরকারি স্কুলে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণিতে মোট ৩ হাজার ৯১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হবে। এর মধ্যে পঞ্চম শ্রেণিতে ২ হাজার, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৭৬৫, সপ্তম শ্রেণিতে ২০, অষ্টম শ্রেণিতে ১৭০ এবং নবম শ্রেণিতে ৯৫৫ জন শিক্ষার্থী এবার ভর্তির সুযোগ পাবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের শিক্ষা ও আইসিটি কর্মকর্তা আ.স.ম. জামশেদ খোন্দকার একাত্তর বাংলা নিউজকে বলেন, ‘আদালতের আদেশের কারণে ভর্তির জন্য লটারির নির্ধারিত যে সূচি ছিল তা স্থগিত করা হয়েছে। লটারির পরবর্তী দিন তারিখ ঠিক করে জানানো হবে।আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তিতে বয়সসীমা ১০ বছর মেনেই ভর্তি প্রক্রিয়া হবে।’
এর আগে ১১ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে না, সরকারের এমন শর্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আইনজীবীর মাধ্যমে রিট করেন আয়েশা খানম নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি এসব বিষয়ে প্রয়োজনী নির্দেশনা চান আদালতের কাছে।
ওই রিটের প্রেক্ষিতে আদালত এগারো বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা দেশের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে বলে আদেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তিটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, একটি রুল জারি করে সরকারের কাছে চার সপ্তাহের মধ্যে এর ব্যাখ্যাও চেয়েছেন আদালত। রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ চলবে।
এছাড়া হাইকোর্ট ইন্টারনেট ও সার্ভার সমস্যা বিবেচনায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনলাইনে ভর্তির জন্য আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা সাত কার্যদিবস বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে আসন্ন শিক্ষাবর্ষে সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোর সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনলাইনে লটারি পরিচালনা করা হবে। চলতি বছর টেলিটকের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ১১০ টাকা আবেদন ফির বিনিময়ে ৫টি সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন করতে পেরেছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে মোট ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৩২৪টি আবেদন জমা পড়েছে।
সারাদেশে মোট ৩৮৬টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদন নেয়া হয়েছে। ভর্তিচ্ছু সব শিশু আবেদন করতে পারলে এ সংখ্যা অন্তত ৬ লাখ ছাড়িয়ে যেত বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।