মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

খুলনায় শেখ বাড়ি’ ভাঙার পর আগুন, খুবিতে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙচুর


প্রকাশের সময় :৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১২:১৮ : পূর্বাহ্ণ

খুলনা প্রতিনিধি:

খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা ‘শেখ বাড়ি’ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে বাড়ির ভেতরের অংশে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। অন্যদিকে, রিকশা-ভ্যানসহ বিভিন্ন বাহনে করে ওই বাড়ির ইট ও রড খুলে নিয়ে যাওয়ার চিত্রও দেখা যায়।

এর আগে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নগরীর ২৩ শেরেবাংলা রোডে অবস্থিত শেখ হাসিনার চাচাতো ভাইদের ‘শেখ বাড়ি’ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। রাত ৯টার দিকে দুটি বুলডোজার নিয়ে প্রথমে বাড়ির প্রধান ফটক ও বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে বাড়ির ভেতরের অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

বাড়িটিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ জুয়েল, শেখ সোহেল ও শেখ রুবেল বসবাস করতেন।

ভাঙচুরের সময় উপস্থিত ছাত্র-জনতা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, ‘শেখ বাড়ির আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘স্বৈরাচারের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’।

সর্বশেষ গত ৪ ও ৫ আগস্ট দফায় দফায় ‘শেখ বাড়ি’ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এদিকে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বুলডোজার দিয়ে এটি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় ছাত্র-জনতা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

অপরদিকে, খুলনা নগরীর দোলখোলা মোড়ে আওয়ামী লীগ নেতা দেলোর বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করার খবর পাওয়া গেছে।

খুবি সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতা রাতভর বিক্ষোভ মিছিল করেন। মধ্যরাত পর্যন্ত ভাঙার কাজ চলে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ম্যুরাল ভাঙচুরের কাজ চলছিল।

এ ছাড়া বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু হলের সামনে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে জুতা নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় এক শিক্ষার্থী বলেন, এই প্রতীকগুলো নিপীড়ন ও স্বৈরাচারের চিহ্ন। এগুলো থাকার অর্থ হলো ২৪-এর গণআন্দোলনকে কলুষিত করা। আমাদের ক্যাম্পাসে এসবের ঠাঁই নেই। স্বৈরাচারকে এভাবে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীরা মূল ফটকের দিকে যাওয়ার আগে কিছু বহিরাগতকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তারা একটি ভেকু (বুলডোজার) নিয়ে এসেছিল। তবে, শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে তারা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যায়।

পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভেকু ব্যবহার করে কালজয়ী মুজিব ম্যুরালটি ভাঙার চেষ্টা চালায়। তবে, তা পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ম্যুরাল ভাঙার কাজ স্থগিত আছে।

ট্যাগ :