স্টাফ রিপোর্টারঃ
রিজার্ভের উপর চাপ কমাতে ও চলমান ডলার সংকট নিরসনে ব্যাংক ও রপ্তানিকারকদের ডলার ধারণের সীমা কমানোসহ তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামার পর অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচকের ওপর চাপ কমাতে এক দিনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের ব্যাংকগুলো এখন তাদের আমদানির খরচ মেটাতে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম থেকে ঋণ নিতে পারবে। আমদানি ঋণপত্র বা এলসি খোলার ২৪ ঘণ্টা আগে জানাতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। প্রথমবারের মতো এই সুযোগ দেয়া হয়েছে।
অপ্রয়োজনীয় আমদানি রোধ এবং আমদানির আড়ালে অর্থ পাচার হচ্ছে কি না, সে বিষয়টি জানতে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে সরকারি আমদানি ছাড়া অন্য যেকোনো আমদানি ৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি হলেই এই রিপোর্ট করতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এছাড়া রপ্তানিকারকের প্রত্যাবাসন কোটা-ইআরকিউ হিসাবে জমা করা বিদেশি মুদ্রার ৫০ শতাংশ দ্রুত নগদায়ন করতে হবে। একই সাথে এই কোটার হিসাবে নতুন করে জমা রাখার হার অর্ধেক করা হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর থাকবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এ নির্দেশনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনলাইন ওয়েবপোর্টালে আমদানি পণ্যের দাম, পরিমাণ ও ইনভয়েস জমা দিতে হবে ব্যাংকগুলোকে। এর ফলে দেশে কি পরিমাণ পণ্য আমদানি হতে যাচ্ছে, কারা করছে, সেই পণ্যর দাম কেমন হতে পারে সে বিষয়ে এলসি খোলার আগেই ধারণা পাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে এর আগে গত এপ্রিলে বিলাস পণ্য আমদানিতে লাগাম টেনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিলাস পণ্যের তালিকা দিয়ে তার বিপরীতে আমদানিতে নগদ মার্জিন শতভাগ রাখা ও ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবার আমদানি পণ্য তদারকি শুরু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক।