স্টাফ রিপোর্টারঃ
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বালিশ ও আসবাবপত্র কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ সাতজনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের দ্বৈত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমির উদ্দিন মানিক। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মুহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমির উদ্দিন মানিক।
গত জুন মাসে ১৩, ১৫ ও ১৬ তারিখে পাবনার আদালত বালিশ-কাণ্ডে অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুদক। সেই আবেদন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
এদিকে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, এ সাত আসামির জামিন বাতিল প্রশ্নে রুল করেছেন আদালত। দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম ছাড়া বালিশ কাণ্ডে অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আহমেদ সাজ্জাদ খান ও মোস্তফা কামাল, উপ সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল কবীর, শফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক ও আমিনুল ইসলাম। রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের বালিশ-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদক পাবনায় চারটি মামলা দায়ের করে। দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন ও উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে পাবনায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এসব মামলা করেন।