স্টাফ রিপোর্টারঃ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার দিন ভোরে জিয়াউর রহমান কেন সুটেড বুটেড ছিলেন? তিনি কি তাহলে হত্যার ঘটনা শোনার অপেক্ষায় ছিলেন? যেখানে সেনাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করার কথা, তিনি তা না করে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বলেছিলেন, ‘সো হোয়াট? ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ দেয়ার’।
রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তাফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রেস ক্লাবে রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে চাই না। কিন্তু আমি সত্যগুলো বলেছি। যদি সত্য না বলি, তাহলে আমি তথ্যমন্ত্রী হিসেবে জাতির কাছে দায়ী থাকব। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিদেশে পালানো ও বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলব কারা, তার সঠিক তথ্য সন্নিবেশিত করতে একটি কমিশন গঠন করতে হবে। এছাড়া যেসব হত্যাকারীরা বেঁচে আছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। মে মাস পর্যন্ত এটি ৭ শতাংশের নিচে ছিল। মে মাসের পর কিছুটা বেড়ে সাড়ে ৭ শতাংশ হয়েছে। যেখানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ, ইউকে-তে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। সেই তুলনায় আমাদের দেশে অনেক কম আছে। তাই বলে আমরা যে এটাকে স্বস্তিদায়ক বলছি তা নয়, আমরা চেষ্টা করছি।
জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধির প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার তেলের দামবৃদ্ধি করেনি, বরং পাশের বাড়ির সমান করেছে। কলকাতায় ডিজেল ১১৬ টাকা। আর আমাদের দেশে ১১৪ টাকা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজ মূল্যস্ফীতি নিয়ে কাগজে বড় বড় প্রতিবেদন। প্রতিবেদন হওয়াটা স্বাভাবিক, আমি দোষ দেখি না। কিন্তু সেটির সঙ্গে বিশ্বে কী হয়েছে সেটি যদি বলা হয়, তাহলে আমি মনে করি তা হবে সঠিক সাংবাদিকতা। বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্ব পরিস্থিতির কথা না বললে জনগণ বিভ্রান্ত হবে। আমরা বলেছি, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম স্থিতিশীলভাবে কমলে তা বাংলাদেশেও সমন্বয় করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এসময় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। ভাষা আন্দোলন মানেই বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু সমার্থক। বাংলাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা শুধু হত্যা নয় বরং বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিলোপ করতেই এই হত্যা। যারা বাংলাদেশকে চায়নি, তারাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক তথ্য কমিশনার গোলাম রহমান, ওমর ফারুক চৌধুরী, বাসস সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সোহেল হায়দার চৌধুরী, আকতার হোসেন, আজিজুল ইসলাম ভুইয়া প্রমুখ।