স্টাফ রিপোর্টারঃ
জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় নিজের শরীরে আগুন দেওয়া ব্যক্তি মারা গেছেন। ওই ব্যক্তির নাম গাজী আনিস (৫০)। তিনি নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। গাজী আনিস সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র আইসিইউতে ভোর সোয়া ছয়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে, গতকাল সোমবার প্রেস ক্লাবের সামনে নিজের শরীরে আগুন দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রেসক্লাব থেকে দগ্ধ অবস্থায় আসা কাজী আনিস শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে মারা যান। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২ মাস আগে একটি কোম্পানির কাছে পাওনা ১ কোটি ২৬ লাখ টাকার দাবি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছিলেন। গতকাল হঠাৎ প্রেস ক্লাবের সামনে এসে তিনি নিজের শরীরে আগুন দেন।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মোহাম্মাদ আলী জানান, গাজী আনিস কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। হেনোলাক্স কোম্পানির কাছে তিনি এক কোটি ২৬ লাখ টাকা পেতেন। এ নিয়ে কয়েকবার সংবাদ সম্মেলনও করেন। টাকা ফিরে না পাওয়ার হতাশায় তিনি আত্মহত্যাচেষ্টা করে থাকতে পারেন।
গাজী আনিসের ভাই গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই হেনোলাক্স কোম্পানির কাছে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা পাবে। দীর্ঘদিন ধরে টাকা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেছে।
গত ২৯ মে গাজী আনিস প্রেস ক্লাবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে হেনোলাক্স গ্রুপের কর্ণধার মো. নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই সূত্রেই ২০১৮ সালে তিনি এই টাকা হেনোলাক্স গ্রুপে বিনিয়োগ করেন।
শাহবাগ থানার এসআই গোলাম হোসেন বলেন, আনিসের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। বাবার নাম ইব্রাহিম বিশ্বাস। তিনি হেনোলাক্স কোম্পানির কাছে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা পান। দীর্ঘদিন ধরে এই টাকা না দেওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।