নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহতের ঘটনায় ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাত ১১টায় দেখা গেছে, বসুরহাট পৌরসভা ভবন ঘিরে রেখেছেন র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। ভবনে অবস্থান করছেন আবদুল কাদের মির্জা।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় ইতোমধ্যে পুলিশ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলসহ ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।
কাদের মির্জার কার্যালয়-পৌরসভা ভবন ঘিরে রাখার কারণ জানতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (১১ মার্চ) জাহিদুল হক রনিকে ফোন করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল হক মীর বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে অবগত নই।’
উল্লেখ্য, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের মধ্যে গত মঙ্গলবারের (৯ মার্চ) সংঘর্ষের ঘটনায় আলাউদ্দিন (৩২) নামে একজন নিহত হন। তিনি চরফকিরা ইউনিয়নের চরকালী গ্রামের মমিন উল্যাহর ছেলে। এ সময় গুলিবিদ্ধসহ আহত হন অন্তত ৩০ জন।
এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারিও এই দুই দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষের সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দু’দলের মাঝখানে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ ১৫ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় বিবদমান পক্ষ দুটি পরস্পরের বিরুদ্ধে মামলা করে।