স্টাফ রিপোর্টারঃ
দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে দূরপাল্লার গণপরিবহনের ভাড়াও। শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকেই প্রায় সব গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। রাজধানীর গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস কাউন্টার ঘুরে যাত্রীদের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। বাস কাউন্টারগুলোতে দেখা যায়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অনুমতি ছাড়াই প্রতিটি বাসে আসনপ্রতি ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নেওয়া হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা।
শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, তেলের দাম বাড়ানোয় দূরপাল্লার মামুন পরিবহন, আল-মোবারকা পরিবহন, শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসসহ কয়েকটি পরিবহনের বাস চলছে না। তারা জানান, তেলের দাম বাড়ায় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ বিকেলে বিআরটিএর সঙ্গে পরিবহন মালিকদের বৈঠকের পর বাস চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কল্যাণপুর এসবি সুপার ডিলাক্সের ম্যানেজার মো. তোয়েব জাগো নিউজকে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আমাদের বাসে ৩০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এতে করে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার নন-এসি বাসের ভাড়া ৫৫০ থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে। ৮০০ টাকার এসি বাসের ভাড়া বাড়িয়ে এক হাজার ৪০ টাকা করা হয়েছে।
তবে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসগুলোতে আগের ভাড়াই রাখছে মালিকপক্ষ। গ্রিনলাইন বাসের কল সেন্টারের কলটেকার শামীমা আক্তার বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো ঘোষণা আসেনি। তাই আগের ভাড়াই নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে বাস ভাড়া সমন্বয় করার দাবি জানিয়েছেন পরিবহন মালিকরা। এ নিয়ে শনিবার বিকেল ৫টায় বিআরটিএর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, গতকাল (শুক্রবার) রাত ১২টা থেকে দেশে জ্বালানি তেলের দাম গড়ে ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। এতে বাস পরিচালনার ব্যয় বেড়ে গেছে। তাই বাস ভাড়া সমন্বয় করা জরুরি।
এর আগে শুক্রবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে দাম বেড়েছে ৩৪ টাকা, অকটেনে ৪৬ এবং পেট্রলে বেড়েছে ৪৪ টাকা। দাম বাড়ার পর প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ ও পেট্রল ১৩০ টাকায় কিনতে হবে। দাম বাড়ার আগে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০, অকটেন ৮৯ ও পেট্রল ৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।