মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুদকের করা মামলায় মেরিডিয়ানের মালিক কারাগারে


প্রকাশের সময় :১১ জুলাই, ২০২৪ ৭:২৬ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক মামলায় হোটেল লা-মেরিডিয়ানের মালিক আমিন আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় গতকাল বুধবার আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।

এদিন আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। আদালতে তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন। তবে দুদক জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আস্সামস জগলুল হোসেন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নুরুল হুদা বাদী হয়ে গত ৩ অক্টোবর এই মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে গত ৫ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক নেয়ামুল হাসান গাজী আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আগামী ১৫ জুলাই চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানির জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

এই মামলার চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু, তার স্ত্রী শিরিন আক্তার, তার ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না, বাচ্চুর ছেলে শেখ রাফা হাই ও শেখ ছাবিদ হাই অনিক। 

চার্জশিটে বলা হয়, বেস্ট হোল্ডিংস গ্রুপের চেয়ারম্যান আমিন আহমেদের সঙ্গে গুলশান সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অধীন ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকার লালসরাইর মৌজার ৬ নম্বর প্লটের ৩০ দশমিক ২৫ কাঠা জমি কেনার জন্য সমঝোতা চুক্তিপত্র করেন বাচ্চু। ২০১২ সালের ৮ আগস্টের ওই চুক্তি অনুযায়ী জমির মূল্য ধরা হয় ১১০ কোটি টাকা। 

চুক্তিপত্র অনুযায়ী পরে ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর দুটি দলিল মোতাবেক ভূমির দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। যার মধ্যে ৮০৮৮৫ নম্বর দলিলে ১৮ কাঠা জমি রেজিস্ট্রি হয়, যার মূল্য ধরা হয় ৯ কোটি টাকা। এই দলিলের গ্রহীতারা হলেন শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু, তার ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না ও স্ত্রী মিসেস শিরিন আক্তার।

এদিকে ৮০৮৮৬ নম্বর দলিলে ১২ দশমিক ২৫ কাঠা জমি রেজিস্ট্রি করা হয়। এর মূল্য ধরা হয় ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এই দলিলের গ্রহীতা আব্দুল হাই বাচ্চুর দুই ছেলে শেখ ছাবিদ হাই অনিক ও শেখ রাফা হাই। তাই দুটি দলিলে জমির মোট রেজিস্ট্রেশন মূল্য দাঁড়ায় ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। 

যদিও জমি ক্রয় বাবদ আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু ১৩৪টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে সর্বমোট ৭৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং নগদে ৩১ কোটি ৫০ লাখ, অর্থাৎ মোট ১১০ কোটি টাকা আসামি আমিন আহমেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে পরিশোধ করেন, যা আসামি আমিন আহমেদ বুঝে পেয়েছেন মর্মে স্বীকার করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু তার স্ত্রী, ভাই ও সন্তানদের নামে ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর, রূপান্তর, ছদ্মাবরণের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অর্থ গোপন করেছেন। ১১০ কোটি টাকায় কেনার পরও ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকায় দলিল করে আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু সরকারের ৮ কোটি ৫২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। 

আর আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুর অবৈধ অর্থ বৈধতা প্রদানে সরাসরি সহায়তা করেছেন আসামি আমিন আহমেদ। এর মাধ্যমে আসামিরা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

ট্যাগ :