স্টাফ রিপোর্টারঃ
বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর দেওয়ার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
‘ক্ষমতা মানে ভোগ বিলাস নয়। ক্ষমতায় থাকার মানে হচ্ছে মানুষের সেবা করার সুযোগ পাওয়া। মানুষের সেবক হিসেবেই তৃণমূলের বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে সরকার। দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন গৃহহীন থাকবে না।’ গণভবন থেকে রোববার (২০ জুন) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দিয়ে এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত জানুয়ারিতে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৭০ হাজার পরিবারকে ঘর দেওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে একসঙ্গে আরও ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারকে ঘর দিয়েছে সরকার। মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা এসব ঘর দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে যারা ঘর পেয়েছেন, তাদের কষ্ট দূর করা এবং তাদের মুখের হাসি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশ আমি ঘুরেছি। গ্রামে-গঞ্জে, মাঠে-ঘাটে। আওয়ামী লীগ অধিকার নিয়ে কাজ করে। জাতির পিতা মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দিয়েছেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে জমি পাব না। এই তহবিল থেকে জমি কিনে দেব। ঘরে করে দেব। এভাবে আমরা চাচ্ছি, বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। কোথাও কেউ গৃহহীন থাকলে আমাদের জানাবেন। আমরা তাদের ঘরবাড়ি করে দেব। আমি মনে করি, এতটুকু করলে আত্মা শান্তি পাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য স্থির করেছি, বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত করব। এর জন্য শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছি, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছি। মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেছি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি গৃহহীন মানুষকে ঘরবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বস্তিবাসীর জন্য ঢাকায় ভাড়ায় থাকার জন্য ফ্ল্যাট করে দিচ্ছি। অর্থনৈতিক নীতিমালায় আমরা তৃণমূলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। গ্রামপর্যায়ের মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া। তাদের খাদ্য, শিক্ষা ও বাসস্থান নিশ্চিত করা। তৃণমূল মানুষের জীবন জীবিকা নিশ্চিত করছি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ক্ষমতা থেকে নিজে খাব, নিজে ভালো থাকব, এটা নয়। ক্ষমতা আমাদের কাছে ভোগের বিষয় নয়। কীভাবে মানুষকে ভালো রাখা যায় এটা হলো বড়। আওয়ামী লীগ সরকার ভোগ করতে নয়, এসেছে নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে।’ সরকারের উন্নয়ন থেকে কেউ বাদ পড়বে না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় গণভবনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং ৪৫৯টি উপজেলা প্রান্ত থেকে উপকারভোগী, জনপ্রতিনিধি এবং মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বেশ কয়েকটি এলাকার প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করেন।