নিউজ-ডেস্ক:
নেপালের তিব্বত সীমান্তে অন্নপূর্ণা ও মানাসলু অঞ্চলের মাঝে রয়েছে ৭,১২৬ মিটার উঁচু ‘হিমলুং’ শিখর। বাংলাদেশের দুই পর্বতারোহী গত ৫ অক্টোবর নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে ৮ অক্টোবর নেপালের কোটো থেকে ট্রেকিং শুরু করেন।
১২ অক্টোবর বেস ক্যাম্পে ১৫,৯১২ ফুট পৌঁছান। পর্বতারোহী দু’জন ২০, ২১ ও ২২ অক্টোবর যথাক্রমে ক্যাম্প-১, ক্যাম্প-২ এবং ক্যাম্প-৩ পর্যন্ত আরোহণ করেন।
২৩ অক্টোবর ভোর ৪টায় ক্যাম্প-৩ থেকে দুই শেরপা গাইডকে সাথে নিয়ে প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসের মধ্যে বাংলাদেশের দুই পর্বতারোহী চূড়ান্ত আরোহণ শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টা পর উড়ন্ত তুষার কণায় এম এ মুহিত চোখে আ-ঘা-ত পান। এক শেরপাকে সাথে নিয়ে ক্যাম্প-৩ এ নেমে আসেন।
অপর শেরপাকে সাথে নিয়ে ইকরামুল হাসান শাকিল আরোহণ অব্যাহত রাখেন। খাড়া হিমবাহের দেয়ালে স্থাপিত প্রায় ২,৩৮০ ফুট দীর্ঘ দড়িতে জুমার ক্লাইম্বিং শেষে ২৩ অক্টোবর নেপাল সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ‘হিমলুং’ শীর্ষে আরোহণ করেন।
অভিযান পরিচালনা করে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব। যৌথভাবে স্পন্সর করে ইস্পাহানি টি লিমিটেড ও আরলা ফুডস বাংলাদেশ লিমিটেড। এ বিজয় উপলক্ষ্যে সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবে পতাকা প্রত্যর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ইকরামুল হাসান শাকিল অভিযানের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।