স্টাফ রিপোর্টারঃ
পবিত্র ঈদুল আজহার আগে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল চালু না হওয়ার আভাস দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রোববার (৩ জুলাই) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ঈদের আগে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালু হচ্ছে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা নিয়ে উনারা (কর্তৃপক্ষ) কাজ করছেন। পদ্মা সেতুতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ ক্যামেরা বসবে। স্পিডগানও বসানো হচ্ছে। এগুলো বসলে তারপর উনারা কম্পোর্ট অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন, কী করা যায়।
এটা কী ঈদের আগে হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের আগে হওয়া খুব ডিফিকাল্ট। আমার মনে হচ্ছে, ঈদের আগে মনে হয় না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পদ্মা ব্রিজে মানুষের হাটার কোননো স্কোপ নেই। কোনো ফুটপাত রাখা হয়নি। এখানে চলাফেরার কোনো সিস্টেমও নেই। নিচের রেলব্রিজে একটা ট্র্যাক রাখা হয়েছে। উপরে একটা সার্ভিস লেন আছে, দুই সাইডে। যখন মেইনটেন্যান্সের কাজ করবে, যারা করবেন তারা এসে তাদের গাড়িটা সাইডে রেখে ওই সার্ভিস লেনে চলাফেরা করতে হবে।
তিনি বলেন, উপরে যদি কেউ যায়, কেউ থামে, এরই মধ্যে পরশুদিন রাতেও আমাকে ফোন করেছে, তিন-চারজনকে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) ধরে নিয়ে গেছে। গাড়ির জরিমানা দিতে পারেনি, এগুলো কিন্তু আরও কঠোরভাবে দেখা হবে।
গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরদিন ২৬ জুন ভোর থেকে সব ধরনের যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে পদ্মা সেতু। এরপর সেতু পার হওয়া যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেলের উপস্থিতি দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি। ওই দিনই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দুজন মারাত্মক আহত হন, পরে তারা হাসপাতালে মারা যান। পরে ২৭ জুন থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৫ জুন দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু উদ্বোধন করে। উদ্বোধনের পরদিন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ঘটনায় ওইদিন দুই মোটরসাইকেল আরোহী মারা যায়। পরে ২৭ জুন থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।