স্টাফ রিপোর্টারঃ
‘বিশ্বের ইতিহাসে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড একটি জঘন্যতম, বর্বরোচিত ও ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত। এরকম নারকীয় হত্যাযজ্ঞ দ্বিতীয়টি আর নেই। স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রকে পুনরায় পাকিস্তান বানাতেই এবং বাঙালির গর্বিত ইতিহাসকে কলঙ্কিত করতেই দেশদ্রোহী ও স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘটনাক্রমে বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা বেঁচে গেলে তাদের দুঃস্বপ্ন সফল না হওয়ায় পুনরায় ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। ১৫ আগস্ট নারকীয় হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ও নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীরাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সরাসরি জড়িত।’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে শনিবার (২১ আগস্ট) বিকাল ৫টায় নগরীর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আবদুল খালেক মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও গবেষক ড. মাসুম চৌধুরী। সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বশরের সঞ্চালনায় আলোচনায় ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুণ সরকার রানা।
সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রীর মাতা অধ্যাপক অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগম করোনা আক্রান্ত থাকায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘দেশি-বিদেশি অপশক্তি ও স্বাধীনতাবিরোধী প্রেতাত্মারাই ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সূত্র এক ও অভিন্ন। এই হত্যাকান্ড মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার এক ঘৃণ্য অপচেষ্টা ছিল।’
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ড. মাসুম চৌধুরী বলেন, ‘১৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা। এসব ঘটনার পেছনের কুশীলবের ভূমিকায় ছিল খন্দকার মোশতাক, মেজর জিয়া, খালেদা, জিয়াপুত্র তারেকসহ স্বাধীনতা বিরোধীরা। সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা সবসময় দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত ছিল এবং এখনও জড়িত আছে। তাদের প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক চসিক কাউন্সিলর হাজী মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জনসংযোগ কর্মকর্তা কালাম চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু একাডেমী চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমান সৌরভ।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স ম জিয়াউর রহমান, হাজী মো. সেলিম রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সি আর বিধান বড়ুয়া, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. হাসান মুরাদ, অর্থ সম্পাদক কাজী ওমর ফারুক, সহ অর্থ সম্পাদক মাসুমা কামাল আঁখি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক শিলা চৌধুরী, শিক্ষা ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সুমন দত্ত, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন রাসেল, গ্রন্থণা ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক মো. জামাল হোসেন তানভীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী দিলু বড়ুয়া জয়িতা,নির্বাহী সদস্য জয়া চৌধুরী, লাকী আকতার, ওসমান গণি, কায়েনাত জারা, সাবিহা সুলতানা, রাঙ্গুনীয়া উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মো. মাহবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী,পটিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান শুক্কুর, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হালিম, শ্রমিক নেতা দিলীপ বড়ুয়া, ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ।