শাহীদুল আলমঃ
হাসপাতাল না হওয়ার পক্ষে কেউ নয়, তবে যে স্থানটি হাসপাতাল করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি নিয়ে ইতিমধ্যে সোস্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার এবং সংশ্লিষ্টরা। সমালোচনাটাকে আমি অবশ্যই যৌক্তিক মনে করছি। কারণ চট্টগ্রামে বসবাসরত মানুষগুলো একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার জন্য ঘুরতে আসে এই সিআরবিতে। এবং এই জায়গাটিকে চট্টগ্রামের মানুষ প্রকৃতির ফুসফুস হিসেবে মনে করে, যার ফলে চট্টগ্রামের সবার নজর এখন সিআরবির দিকেই।
সিআরবি এলাকার নির্মল পরিবেশ যেমন মানুষের মনের জন্য প্রশান্তি জোড়ায় ঠিক তেমনি সেই জায়গাতে আরো অনেক ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে যেগুলো চট্টগ্রামবাসীর হৃদয়ের সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। আর এমনিতেই যে বেসরকারি হাসপাতালটির কথা বলা হচ্ছে সেটি যেখানেই হোক না কেন বিনিময়ে সুফল পাওয়া দুঃস্বপ্নের মতো হবে কারণ এই হাসপাতাল হতে অন্তত ফ্রী’তে বা কম মূল্যে চিকিৎসাসেবা পাওয়া যাবে না এটা নিশ্চিত। তারপরও এই মহৎ উদ্যোগ যাঁরাই নিয়েছেন অন্তত পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে নয় বরং অন্যত্র শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণ ও সমালোচনা মুক্ত একটি স্থান নির্ধারণের মাধ্যমে হোক সেটাই আশা রাখছি। তবুও চট্টগ্রামের প্রকৃতির ফুসফুস খ্যাত সিআরবি অন্তত বাঁচুক আরো হাজার বছর।
শাহীদুল আলম
লেখক ও শিক্ষক।