মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সীতাকুণ্ডে বন্ধ ঘোষণার ১৫ ঘণ্টা পর শিপইয়ার্ড চালুর সিদ্ধান্ত


প্রকাশের সময় :১১ নভেম্বর, ২০২১ ৪:১৬ : অপরাহ্ণ

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ

চারটি শিপ ইয়ার্ডে কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনের অভিযানকে কেন্দ্র করে সীতাকুণ্ডের সবকটি জাহাজ ভাঙা কারখানা বন্ধ ঘোষণার ১৫ ঘণ্টার মধ্যে খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিপ ইয়ার্ড মালিকদের সংগঠন বিএসবিআরএ। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারের কার্যালয়ে বৈঠক করে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করা হয়েছে বলে জানান বিএসবিআরএর সহ-সভাপতি ও সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন। তিনি বলেন, কাস্টম ও ভ্যাট কমিশনারের কার্যালয় থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আমরাও তাদের প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সরবরাহ করে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি। আমাদের মাঝে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল যা নিরসন হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে যথারীতি ইয়ার্ডের কার্যক্রম চলবে।

চট্টগ্রামের কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিযান চালানো কারখানাগুলো ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে এমন তথ্য পেয়ে তারা অভিযানে গেছে। আর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখার জন্য নথি জব্দ করা হয়েছে। ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার হাসান মুহম্মদ তারেক বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। একই কারণে তারা কারখানাগুলোয় অভিযান চালিয়ে নথিপত্র জব্দ করেছেন। এখন জব্দ করা কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। বিনা কারণে কাউকে হয়রানি করা হবে না।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে জাহাজভাঙার চারটি কারখানায় অভিযান চালায় কাস্টম, এঙাইজ ও ভ্যাট কমিশনের তিনটি দল। দুপুর থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কারখানাগুলোর প্রধান কার্যালয় ও শাখা অফিসে একসাথে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান শেষে ওই কারখানাগুলোর নথিপত্র ও কম্পিউটার জব্দ করে নগরীর আগ্রাবাদের ভ্যাট কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ভাটিয়ারী স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ড, প্রিমিয়ার ট্রেড করপোরেশন, মাহিনুর শিপ-রিসাইক্লিং ইয়ার্ড এবং এসএন করপোরেশন এই চার কারখানায় অভিযান চালানো হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে অলিখিতভাবে জাহাজভাঙার কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দেয় শিপ ইয়ার্ড মালিকদের সংগঠন বিএসবিআরএ (বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন)। অবশেষে আলোচনার টেবিলে এ অচলায়তন দূর হওয়ায় ইয়ার্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২০ থেকে ২২ হাজার শ্রমিকের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

ট্যাগ :