স্টাফ রিপোর্টারঃ
আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমান মুজিবের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে চান্দগাঁও থানা এলাকার গোলাম আলী নাজির বাড়ীর এক ভুক্তভোগী পরিবার।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন পরিবারের পক্ষে মোছাম্মদ আকলিমা নামে এক নারী বলেন- ‘মন্ত্রীপুত্র মুজিবুর রহমান মুজিবের মিথ্যা মামলা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকির কারণে আমরা আজ বাড়ী ছাড়া। মুজিব ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর আতঙ্কে পরিবারের মহিলা সদস্যরাও খুব ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আকলিমা বলেন, ‘মন্ত্রীপুত্র মুজিবুর রহমান মুজিবের মিথ্যা মামলা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকির কারণে আমরা আজ বাড়ী ছাড়া। মুজিব ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর আতঙ্কে পরিবারের মহিলা সদস্যরাও খুব ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চলতি বছরের মার্চে মুজিব সদলবলে আমার জায়গা দখল করতে আসে। এ ঘটনায় আমরা চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। এরপর মুজিব আমার জমিটি নিয়ে একটি জাল দলিলও তৈরি করে। পরবর্তীতে আমরা এই দলিল বাতিলের জন্য আদালতে আবেদন করি।’
আকলিমা আরও বলেন, ‘মুজিবের মামলা ও ভয়ভীতিতে আমাদের পরিবার আজ পুরুষশূন্য। আমরা কয়েকজন নারী আজকে তার বিচারের দাবিতে এখানে এসেছি। আমরা তার বিচার প্রধানমন্ত্রীর নিকট চাই।’
চান্দগাঁও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানায় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে। এক পক্ষ সাবেক মন্ত্রীপুত্র মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে ২০ এপ্রিল একটি মামলা দায়ের করে। আবার একই দিন মামলার ঠিক এর ৫ মিনিট পরে মুজিবের পক্ষ থেকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আরেকটি পাল্টা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বিএসসি পুত্র মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে বারবার ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত ২০ এপ্রিল থানায় দুটি পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করছে। এসব মামলায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে বিষয়টি পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন কানিছ ফাতেমা ইতি, শাহনাজ বেগম, নাইমা আক্তার ও জহুরা বেগমসহ বেশ কয়েকজন নারী।