এম.এইচ মুরাদ:
চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নাম হবে চসিকের সাবেক মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৪৫৮ তম বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রায় ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ প্রায় শেষের দিকে। নভেম্বরে প্রথম সপ্তাহে ফ্লাইওভারটি চালুর সম্ভাবনা রয়েছে।
এ অবস্থায় চউকের বোর্ড সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণের বিষয়টি সর্বসম্মতিক্রমে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফ্লাইওভার নামে অনুমোদন হয়েছে। তবে ফ্লাইওভারের নামকরণের একটি প্রস্তাব গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবে। তারপর চূড়ান্ত অনুমোদন হবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তথ্যমতে, চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি র্যাম্প ও লুপ মিলে উড়াল সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাইলিং কাজের উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়।
প্রকল্পটির নির্মাণকাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ও চীনা প্রতিষ্ঠান র্যাঙ্কিন। প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় তিন হাজার ৭২০ কোটি ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭২৮ টাকা হলেও পরবর্তীতে আরো ৬৪৯ কোটি দুই লাখ ৪৩ হাজার ৯১ টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৩৬৯ কোটি সাত লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ আছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।