মুজাহিদ বিল্লাহঃ
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্য ধরে রাখতে হলে আমাদের শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করতে হবে। ইতোমধ্যে এই অভিযান শুরু হয়েছে। যখন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু হলো তখন কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হবে। তখন থেকেই আমাদের শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করেছেন। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান চালিয়েছেন। তিনি ক্যাবিনেট সদস্যদের বিচারের আওতায় এনেছেন। কাউকেই তিনি ছাড় দিচ্ছেন না।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে (২য় তলা, ভিআইপি লাউঞ্জে) বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম-এর উদ্যোগে “শেখ হাসিনা : নেতৃত্ব, মানবিকতা ও দূরদৃষ্টি” শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শুদ্ধি অভিযানের মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ দূর করতে হবে। সামাজিকভাবে প্রচারণার মধ্য দিয়ে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদকে রুখতে হবে। রাজনৈতিক উগ্রবাদিতা পরিহার করতে হবে। কোনো নেতা যেন জনবিচ্ছিন্ন না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। জনগণের মাঝে সঠিক বার্তা পৌঁছাতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে দল যেন জনগণের সহানুভূতি না হারায়।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পনা মাফিক দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা রুপকল্প-২১ এ থেমে নেই। আমরা রূপকল্প-৪১ হাতে নিয়েছি। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সব দিক দিয়ে এগিয়ে। মাতৃ মৃত্যুহার কম, শিশু মৃত্যুহার কম এবং নারীর ক্ষমতায়নে আমরা এগিয়ে আছি। এমডিজি লক্ষ্য পূরণ করে আমরা ১২টি পুরস্কার পেয়েছি। এমডিজির ২ টি লক্ষ্যের মধ্যে আমরা ২০টি পূর্ণ করেছি। এসডিজি আমরা ২০৩০ এর মধ্যে অর্জন করব। সে ক্ষেত্রে আমরা অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছি এবং কাজ করছি।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক আইজিপি ও কলামিস্ট এ কে এম শহীদুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিশিষ্ট চিকিৎসক ও কলামিস্ট অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহাতাব (স্বপ্নীল) ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি জনাব সাইফুল আলম এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামালসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। সেমিনারে বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া)-এর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।