এম.এইচ মুরাদ:
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাঙ্গালী জাতির মেধাকে শূন্য করার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি বাংলার বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় যে কলংকের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে জাতি আজও সেই সব পরাজিত শক্তির প্রতি ঘৃণা পোষণ অব্যাহত রেখেছে। এবং একই সাথে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছে বাংলার সর্বস্তরের আপামর জনগণ।
তারই ধারাবাহিকতায় ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: জহুরুল আলম জসিমের নেতৃত্বে পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামাল বাচ্চু, মো: জসিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নয়ন, হারুন গফুর ভূঁইয়া, সাহাবুদ্দিন আরঙ্গজেব, মো: আনোয়ার হোসেন, মো: সেলিম, মো: সেলিম বাদশা, মো: ফাহিম, খোকন চন্দ্র শীল, মো: সেলিম উদ্দিন, মো: ইসকান্দর, মহিলা নেত্রী দীপ্তি রানী, ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগ নেতা আবু নোমান নাহিদ, বেলাল উদ্দিন জুয়েল, মো: মোশারফ, মো: শামিম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ৪৮ বছর আগে ১৯৭১ সালের এ দিনে (১৪ ডিসেম্বর) বিজয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামসের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় জাতির বীর সন্তানদের জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী জাতিকে মেধাশূন্য করতে তাদের এ দেশীয় দোসরদের সহায়তায় বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগ, চট্টগ্রামের পাহাড়তলীসহ রাজধানীর বিভিন্নস্থানের নির্যাতন কেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে অমানবিক নির্যাতন শেষে বিভিন্ন বধ্যভূমি বিশেষ করে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়। এরপর থেকে দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।