স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী সংগঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার)। এই নির্বাচন উপলক্ষে ‘তুচ্ছ’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘বড়’ কাণ্ড ঘটে গেছে হাসপাতালে। হাসপাতাল ভবনের বাইরে (ক্যাম্পাসে) সাঁটানো পোস্টার-ব্যানার অপসারণ করায় হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কর্মচারীরা। তারা প্রশাসনিক কর্মকর্তার অপসারণের দাবিও জানিয়েছেন। সোমবার পোস্টার-ব্যানার অপসারণের ঘটনায় গতকাল (মঙ্গলবার) প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেননি কর্মচারীরা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমদ।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচন উপলক্ষে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে হাসপাতাল ক্যাম্পাস। হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায়ও পোস্টার সাঁটায় কতিপয় প্রার্থী। হাসপাতালের অভ্যন্তরে সাঁটানো এসব পোস্টার-ব্যানার অপসারণে প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রনব কুমার হাওলাদারকে নির্দেশনা দেয় হাসপাতাল প্রশাসন। তবে নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) হাসপাতাল ভবনের বাইরে (ক্যাম্পাসে) সাঁটানো কিছু পোস্টার-ব্যানারও ছিঁড়ে ফেলেন হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এ নিয়ে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন কর্মচারীরা। তাঁরা এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালককে মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানান। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এটি করা হয়েছে অভিযোগ করে প্রশাসনিক কর্মকর্তার অপসারণের দাবি জানান কর্মচারীরা। এ তথ্য নিশ্চিত করে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমদ বলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে হাসপাতাল ভবনের অভ্যন্তরের পোস্টার-ব্যানার অপসারণ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ভবনের বাইরে সাঁটানো পোস্টার-ব্যানারও ছিঁড়ে ফেলেন। কর্মচারীরা এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। যদিও এটি ছোট ঘটনা, কিন্তু কোন একটি চক্রের কারণে হয়তো এটি এখন বড় ঘটনায় রূপ দেয়া হয়েছে। কর্মচারীরা তাদের দাবি জানিয়েছেন, আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে চিঠি (শোকজ) দিয়ে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছি। ব্যাখ্যা পেলে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে, ঘটনার পর নিজের ভুল স্বীকার করেছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রনব কুমার হাওলাদার। প্রশাসনিক কর্মকর্তার দাবি- পরিচালক স্যার আমাকে হাসপাতালের ভবনের অভ্যন্তরের পোস্টার-ব্যানার অপসারণ করতে বলেছিলেন। আমি হয়তো ঠিকমতো খেয়াল করতে পারিনি। তাই ভবনের বাইরের কিছু পোস্টার-ব্যানারও ছিঁড়ে ফেলি। এটি আমার ভুল হয়েছে। না ছিঁড়ে রেখেও দেয়া যেতো। তবে ভুল হয়ে গেছে।