মিলন কান্তি দে (বিশেষ প্রতিনিধি):
চট্টগ্রাম বন্দরের জায়গা দখল করে নামহীন শিপইয়ার্ডে বানানো হচ্ছে রীতিমতো জাহাজ। এটি নির্মাণ করতে যে ধরনের অবকাঠানো ও ছাড়পত্র নেওয়ার দরকার তা কোনোটিই নেই ওই প্রতিষ্ঠানের। এতে পরিবেশে বিরূপ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন উপকূলবাসী।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানাধীন আকমল সাগরপাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পতেঙ্গায় চলমান আউটার রিং রোড এলাকায় সাগরের ২০ ফিট দূরত্বে স্থায়ী গার্ডওয়াল ঘেঁষে প্রায় দেড় একর জায়গায় শিপইয়ার্ডে নির্মাণ হচ্ছে হারুন কোম্পানি নামের এক ব্যক্তির জাহাজ। চলতি বছর থেকে নির্মাণ শুরু হওয়া এ জাহাজ তৈরিতে কাজ করছেন ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক। নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়াই তারা ঝুঁকির মধ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
সূত্রে জানায়, জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বিনিয়োগ বোর্ড ও সরকারের বেশ কয়েকটি অধিদফতর থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, নামহীন ওই শিপইয়ার্ডে এসব ছাড়াই সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও স্থানীয়দের ম্যানেজ করে জাহাজ বানানোর কাজ চলছে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে হারুন কোম্পানির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছে আট মাস আগে। এছাড়া বন্দরের অনুমতিও আছে। সংশ্লিষ্ট সব অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছে।’
অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনাকে কেন কাগজ দেখাব। আপনি মোবাইলে কাগজপত্র চাইছেন, এতে কি সরকারি দপ্তরের কাগজ দেখানো যায়?’
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক বলেন, ‘ইপিজেড আকমল আলী বেড়িবাঁধ উপকূলে নদী তীরবর্তী এলাকায় কোনো শিপইয়ার্ডে অনুমতি নেই। কেউ যদি বলে অনুমতি আছে, তাহলে সেটা মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।