স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন স্থানে উদ্ধারের পর সেই জায়গাগুলো আবারও বেদখল হয়ে যাচ্ছে। সূত্র বলছে, যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রকৌশল বিভাগের অবহেলায় এসব জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। গত দেড় মাসে মহানগরের বিভিন্ন স্থানে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখলমুক্ত করা হয় রেলের ২৫ একর জমি। এসব জমি আবারও বেদখল হয়ে গেছে।
নগরের বন্দর থানার পোর্ট কলোনি, আমবাগান, রেলওয়ে ট্রেনিং অ্যাকাডেমিসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করে এ চিত্র দেখা গেছে। দখলে থাকা রেলওয়ের জমি উদ্ধারে সরকারের নির্দেশনা আসার পর গত ৩ অক্টোবর থেকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
ওইদিন সদরঘাট থানাধীন কদমতলী ফ্রান্সিস রোডের উভয়পাশে ২৫৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ২ দশমিক ৫৮ একর জমি উদ্ধারের মধ্যে দিয়ে অভিযান শুরু করে রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ।
এরপর ৯ অক্টোবর পাহাড়তলীর সেগুনবাগান, ১৭ অক্টোবর সিআরবির বয়লিউ অ্যাভেনিউ, ২৮ অক্টোবর রেলওয়ে ট্রেনিং অ্যাকাডেমি, ৩০ অক্টোবর সিআরবি, ৪ নভেম্বর নগরের পাহাড়তলীর সেগুনবাগান ও ৬ নভেম্বর আমবাগানে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ২৫ একর জমি উদ্ধার করা হয়।
যার বাজারমূল্য হাজার কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু উচ্ছেদ করা জায়গাগুলোতে ফের গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। সম্প্রতি আমবাগান, পোর্ট কলোনি ও রেলওয়ের ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে গিয়ে দেখা গেছে, যেসব স্থানে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল সেসব স্থানে আবারও গড়ে তোলা হয়েছে বসতঘর, দোকানপাট। অভিযোগ রয়েছে, রেলের জমি বেদখল হওয়ার পেছনে হাত রয়েছে রেলের অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভূ-সম্পত্তি বিভাগ জমি উদ্ধারের পর সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে দেয়াল বা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করা প্রকৌশল বিভাগের কাজ।