চট্টগ্রামে সহিংসতা ও আইনজীবী হত্যার প্রেক্ষাপটে এবার কোতোয়ালি থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ এ বদলির আদেশ দেন। কোতোয়ালি থানার ওসি ফজলুল কাদেরকে গোয়েন্দা পুলিশে বদলি করে নগর বিশেষ শাখার (সিটি এসবি) পরিদর্শক আব্দুল করিমকে ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, “নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে কোতোয়ালি থানার ওসি ফজলুল কাদের চৌধুরীকে বদলি করা হয়েছে।”
চট্টগ্রাম নগরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা কোতোয়ালি। এ থানা এলাকায় চট্টগ্রাম আদালত ভবন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল সদর দপ্তর, রেল স্টেশনের অবস্থান।
পাশাপাশি নগরীর অন্যতম ব্যবসাস্থল খাতুনগঞ্জ, রেয়াজউদ্দিন বাজার, টেরিবাজার, নিউ মার্কেট এ থানার অধীনে।
এছাড়া দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অবস্থানও এ থানা এলাকায়।
দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নগরীর সবচেয়ে আলোচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ এ থানার ওসি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সিআইডি থেকে সিএমপিতে বদলি হয়ে আসা ফজলুল কাদের চৌধুরীকে।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন।
বেলা সোয়া ১২ টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত বিক্ষোভের পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা এ সময় আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে।
এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবীকে হত্যা করা হয়।
এরপর বুধবার দক্ষিণ জোনের উপ কমিশনার লিয়াকত আলী খানকে বদলি করা হয়।