স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজশাহীর সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নৌ ও ট্রেন রুট চালু হলে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই লাভবান হবে। রোববার (২৪ জুলাই) রাজশাহী সফররত বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এই মন্তব্য করেছেন।
রোববার (২৪ জুলাই) বিকেলে নিজ দপ্তরে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে বৈঠক করেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। সেখানে রাজশাহী ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের মধ্যে নৌরুট চালু নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা হয় রাজশাহী থেকে কলকাতা ট্রেন যোগাযোগ চালুর ব্যাপারেও।
বৈঠক শেষে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে রাজশাহী, ঈশ্বরদী হয়ে আরিচা পর্যন্ত নৌরুট চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নৌপথটি সচল করা গেলে ভারত থেকে মালামাল ঢাকা পর্যন্ত নেওয়া যাবে।
এ ছাড়া রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত ট্রেন সার্ভিসের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছি। তিনি এসব বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। তার সরকারকে এটি অবহিত করবেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
মেয়র আরও বলেন, আমাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কুষ্টিয়াসহ যেসব মানুষ বসবাস করেন, তারা যাতে মাদক ব্যবসাসহ অন্য কোনো কাজে লিপ্ত না হয়ে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূণ সম্পর্ক নিয়ে এগিয়ে যান, সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। এর সুফল রাজশাহীবাসী তথা রাজশাহী বিভাগের মানুষ ও দেশের মানুষ পাবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, রাজশাহীর সঙ্গে ভারতের নৌরুট চালু ও ট্রেন যোগাযোগ চালুর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে ভারত সরকারও আন্তরিক। এসব চালু হলে উভয় দেশ লাভবান হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী ক্লিন সিটি ও গ্রিন সিটি। ইতোমধ্যে সারা দেশে রাজশাহীর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। রাজশাহীতে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
বৈঠকের শুরুতে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বৈঠক শেষে ভারতীয় হাইকমিশনারের হাতে সম্মননা স্মারক ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন রাসিক মেয়র।
এর আগে ভারতীয় হাইকমিশনারের আগমনে নগর ভবনের প্রধান ফটকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন। এরপর নৃত্য ও গানের তালে তালে বর্ণিল আয়োজনে অতিথিকে বরণ করে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর-কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।