স্টাফ রিপোর্টার:
প্রাণী, শিশু ও বৃদ্ধদের কথা চিন্তা করে আসন্ন ‘থার্টিফার্স্ট নাইট’ আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। একই সঙ্গে আতশবাজির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করাসহ এটি বন্ধে রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগে সরকারকে উদ্যেগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনগুলোর নেতারা।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘আতশবাজি/ফানুস বর্জন করুন, আতশবাজি হাজারও প্রাণের মৃত্যুর কারণ’ শীর্ষক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এই আহ্বান জানান সচেতন নাগরিকরা। সমাবেশের আয়োজন করে পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (পি-ফাউন্ডেশন), সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ, ওয়াইলড ওয়াচ, স্টেলা ফাউন্ডেশন, সেভ ফিউচার বাংলাদেশ।
সমাবেশে পি-ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিল বলেন, আতশবাজি বা পটকাবাজি মূলত তিন ধরনের ক্ষতি করে। এগুলো ফোটানোর সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দ হয়, যা আমাদের চারদিকে শব্দ দূষণ ঘটায়। এই শব্দ শিশু, বৃদ্ধসহ অসুস্থ রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আতশবাজির শব্দে প্রাণীরা চমকে ওঠে। এ ছাড়া হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। এ কারণে প্রতিবছর হাজারও পাখি ও বন্যপ্রাণী অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করে। পথে থাকা কুকুর-বিড়াল ভয়ে ছোটাছুটি করে, আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
তা ছাড়া এ থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক বায়ুদূষণ ঘটায়, যা ফুসফুসের নানা রোগের কারণ। পরিবেশ দূষণ তৈরি করে। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কাজেই আসন্ন থার্টি ফার্স্ট নাইট কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এই পটকা বা আতশবাজি ফোটানো থেকে বিরত থাকা উচিত। এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন রিয়াদ, ওয়াইলড ওয়াচের সদস্য সুমন মজুমদার, স্টেলা ফাউন্ডেশনের নোনা আহমেদ, সেভ ফিউচার বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক নয়ন সরকার প্রমুখ।