স্টাফ রিপোর্টারঃ
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইটে ওঠার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে নিতে হবে। এছাড়া, করোনা টিকা গ্রহণ করলেই চলবে না, টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট অবশ্যই সঙ্গে নিতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। শুক্রবার হজে যেতে ইচ্ছুক ও সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২২ সালের হজে ৬৫ বছরের (পাসপোর্ট অনুযায়ী যাদের জন্ম তারিখ ১ জুলাই ১৯৫৭ সাল এবং পরবর্তী) কম বয়সী ব্যক্তিই কেবল হজ পালনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। ২০২০ সালে সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত হজযাত্রী ২০২২ সালে হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
২০২০ সালে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে (পাসপোর্ট অনুযায়ী যাদের জন্ম তারিখ ৩০ জুন ১৯৫৭ সাল বা পূর্বে) নিবন্ধিত বয়স্ক হজযাত্রী/ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কেউ হজে যেতে আগ্রহী হলে তিনি সেই শূন্য কোটায় অগ্রাধিকার পাবেন। সরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে পরিচালক, হজ অফিস, ঢাকার কাছে অনতিবিলম্বে বদলি হজযাত্রীর পাসপোর্টসহ আবেদন করতে হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আগ্রহীদের যোগ্য স্ব স্ব হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। উভয় ক্ষেত্রেই প্রস্তাবিত ব্যক্তির প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ২০২২ সালের হজের জন্য নতুনভাবে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করে ভিসা আবেদন করার লক্ষ্যে নিম্নোক্ত কয়েকটি বিষয়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেগুলো হলো:
২০২০ সালের নিবন্ধিত সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের ২০২২ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণার ৩ কার্যদিবসের মধ্যে যেকোনো নিবন্ধন কেন্দ্র থেকে প্যাকেজ স্থানান্তর সম্পন্ন করতে হবে। এজন্য ২০২০ সালে পরিশোধিত প্যাকেজ মূল্য সমন্বয় করে ২০২২ সালের যেকোনো একটি প্যাকেজের অবশিষ্ট অর্থ ভাউচারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে জমা করতে হবে। প্যাকেজ স্থানান্তর/নিবন্ধনের ৩ দিনের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের স্ব স্ব পাসপোর্ট নিজ দায়িত্বে বিনা ব্যর্থতায় হজ অফিস ঢাকায় জমা দিতে হবে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ২০২০ সালের নিবন্ধিত হজযাত্রীদের নিজ নিজ এজেন্সি ঘোষিত প্যাকেজ (সরকারি ব্যবস্থাপনার সর্বনিম্ন প্যাকেজের নিম্নে নয়) দ্রুত নির্ধারণ ও অবশিষ্ট অর্থ পরিশোধ করে এজেন্সির সহায়তায় হজে যাওয়ার কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
নিবন্ধন নিশ্চিত করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় হজে গমনেচ্ছুদের পাসপোর্টের মেয়াদ যাচাই করে কমপক্ষে ৪ জানুয়ারি ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদযুক্ত পাসপোর্ট প্রস্তুত রাখতে হবে। যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা নতুন করে পাসপোর্ট করতে হবে, তাদের অতি জরুরিভিত্তিতে পাসপোর্ট করতে হবে। হজের সময় সৌদি কর্তৃপক্ষের নিয়ম মোতাবেক প্রতিটি স্থানে গ্রুপভিত্তিক চলাচল করতে হবে।
হজের সফরের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাজকীয় সৌদি সরকারের প্রবর্তিত নিয়ম অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
কোভিড ভ্যাকসিন ও ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ গ্রহণ করে টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট হজের পুরো সফরে ব্যবহারের লক্ষ্যে একাধিক কপি/আইডি কার্ড আকারে লেমিনেট কপি প্রস্তুত রাখতে হবে।
নিবন্ধন ব্যতীত কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে থাকলে অথবা ‘সুরক্ষা’ অ্যাপসে টিকা নেওয়ার তথ্য আপডেট নেই, এমন হজযাত্রীকে টিকা গ্রহণের তথ্য ‘সুরক্ষা’ অ্যাপসে অন্তর্ভুক্তিক্রমে টিকার সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে অর্থ্যাৎ টিকা গ্রহণ করলেই চলবে না, টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট অবশ্যই সঙ্গে নিতে হবে। হজে গমনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে নিতে হবে।
হজযাত্রীরা নিয়মিত সেবন করেন, এরূপ কোনো ওষুধ সৌদি আরবে নেওয়ার প্রয়োজন থাকলে তা অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের/হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্র সঙ্গে করে লাগেজে বহন করতে হবে। কোনো প্রকার ব্যবস্থাপত্র বিহীন ওষুধ সঙ্গে নেওয়া যাবে না। হজযাত্রী, গাইড বা সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি জর্দা, গুলসহ নেশাজাতীয় দ্রব্য সঙ্গে নিতে পারবেন না।
সৌদি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সৌদি আরব থেকে প্রত্যাগমনের সময় ৬০ হাজার সৌদি রিয়ালের বেশি নগদ অর্থ বা সমমূল্যের স্বর্ণালংকার বা মূল্যবান কোনো দ্রব্যাদি বহন করলে সেই যাত্রীকে সৌদি স্থানীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে এবং মূল্যবান দ্রব্যাদি ক্রয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল ভাউচার প্রদর্শন করতে হবে।
হজের বিষয়ে কোনো তথ্য জানার জন্য হজ অফিস, ঢাকার কলসেন্টার ০৯৬০২৬৬৬৭০৭ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়াও, হজের বিষয়ে এরপরও কোনো তথ্য জানার প্রয়োজন হলে হজ অণুবিভাগের ফোকাল পয়েন্ট উপসচিব (হজ-১) আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন মোবাইল নম্বর: ০১৭২০-২০৯৫৯৯, ই-মেইল: akm.shaheen@gmail.com-এ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।