মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ন্যায় বিচার পাইনি, উচ্চ আদালতে যাবো : মিন্নির বাবা


প্রকাশের সময় :৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১০:০২ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যার রায় ঘোষণার পর মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, ন্যায় বিচার পাইনি, উচ্চ আদালতে যাবো।

আজ বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ৬ জনকে মৃত্যুদন্ড ও অপর ৪ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

রায়ের পরে রাকিবুল হাসান রিফাত শরীফের বাবা বলেন, রাজনৈতিক কারণে তার ছেলেকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। তিনিও উচ্চ আদালতে যাবেন।

রায়ে যেসব আসামিদের ফাঁসি দেয়া হয়েছে- রাকিবুল হাসান রিফাত শরীফ, আল কাইয়ুম রাব্বি আকন, রেজোয়ানুল ইসলাম টিকটক হৃদয়, হাসান, আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।

যাদের খালাস দেয়া হয়েছে- রাফিউল ইসলাম রাব্বি, সাগর, কামরুল হাসান সায়মুন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত ও মুসা।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত করে। এরপর এলাকা ত্যাগ করে তারা। গুরুতর আহত রিফাত বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই দিনই মারা যান।

ওই ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে মামলায় ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়।

রিফাত হত্যার ঘটনা বরগুনা শহরে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ দৌরাত্ম্যের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনে। এসব কিশোর তরুণের পেছনে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার খবর গণমাধ্যমে এলে হত্যার কারণ নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলতে থাকে।

এর মধ্যেই ২ জুলাই মামলার প্রধান সন্দেহভাজন সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

এদিকে মিন্নির শ্বশুরই পরে হত্যাকাণ্ডে পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তুললে আলোচনা নতুন মোড় নেয়। ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সেদিন রাতে তাকে রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

পর দিন আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান। কিন্তু মিন্নির পক্ষে কোনো আইনজীবী সেদিন আদালতে দাঁড়াননি, যা নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়।

পাঁচ দিনের রিমান্ডের তৃতীয় দিনেই মিন্নিকে আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই তরুণী হাকিমের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তবে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর অভিযোগ করেন, নির্যাতন করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মিন্নিকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেছে পুলিশ। এর পেছনে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের হাত আছে বলেও তিনি সে সময় দাবি করেন।

পরে ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট মিন্নির জামিন মঞ্জুর করে। তবে শর্ত দেয়া হয়, জামিনে থাকাবস্থায় ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণী তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের জিম্মায় থাকবেন। আর এই সময়ে মিন্নি গণমাধ্যমের সামনে কোনো কথা বলতে পারবেন না।

এদিকে দুই মাস ৬ দিন তদন্ত করে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর দুই খণ্ডে ২৪ আসামির বিরুদ্ধে বরগুনা সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

অন্যদিকে গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক রয়েছেন।

ট্যাগ :