স্টাফ রিপোর্টারঃ
ফেনী জেলার ফুলগাজী ও পরশুরামে প্রবল বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ১০ গ্রাম। পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দুপুরে ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর একটি স্থানে বাঁধ ভাঙার পর রাতে পরশুরামে কহুয়া নদীর একটি স্থানসহ আরও দু’টি স্থানে বাঁধ ভেঙে যায়।
এতে ফুলগাজী ও পরশুরামের কমপক্ষে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় ভেসে গেছে শত শত মাছের খামার। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। পানি উঠে পড়েছে মানুষের ঘরবাড়ি ও দোকান পাটে। বন্যা পরিস্থিতি অবনতির কারনে লোকজনকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ফেনীর জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান জানান, পাহাড়ি ঢলে ফুলগাজী ও পরশুরামে ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রয়োজনে বন্যা কবলিত এলাকায় লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হবে যাতে মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। আমরা ত্রান বিতরনের ব্যবস্থা করছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, পানি বর্তমানে বিপদ সীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হলেও ভাঙা স্থান দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি পুরোপুরি নেমে গেলে ভাঙা স্থান গুলোতে মেরামত করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, ফুলগাজী ও পরশুরামের বিভিন্ন স্থানে প্রতি বছরই বন্যায় বাঁধ ভেঙে যায়। প্রতি বছরই বাঁধ মেরামত করা হয় নামেমাত্র। যা টেকসই হয়না। ফলে বাঁধ গুলো টিকে না। আমরা চাই টেকসই ভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হোক। আমরা ত্রান চাই না, চাই টেকসই বাঁধ । এভাবে প্রতি বছর বাঁধ ভেঙে আমারদের পুকুরের মাছ, জমির ফসল ও গবাধি পশুর ব্যাপক ক্ষতি হয়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি। প্রতি বছর আমাদের বাড়ি- ঘর মেরামত করতে হয়। রাস্তাঘাট মেরামত করতে হয়। এই বাঁধ ভাঙা আমাদের জন্য অভিশাপ। আমরা এই অভিশাপ থেকে স্থায়ী মুক্তি চাই।