স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রামসহ সারাদেশে করোনার ভয়াবহতার কারনে সরকার সব ধরনের সভা সমাবেশ ও জনসামাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু সরকারী আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে ও মাস্ক ব্যবহার না করে প্রায় ২০০ এর অধিক কর্মী নিয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে নব্বইয়ের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য এর আয়োজনে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার শাহাদাত হোসেন, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিন জেলা বিএনপির সংগ্রামী আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদল নেতা কর্মীদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যহারের দাবিতে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এই প্রতিবাদ সমাবেশকে বিএনপির একটি পক্ষ কথিত নেতাকে খুশি করার উদ্দেশ্যে, লোকদেখানো বানোয়াট এবং নিজেকে রাজপথের ও ত্যাগী নেতা হিসেবে দলের উপর মহলে জাহির করার উপায় হিসেবে ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করেন।
শনিবার (৮ মে) বেলা ৩ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক ঢাকসু ভিপি মোঃ নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বার এসোসিয়েশন এর সাবেক সভাপতি এড. বদরুল আনোয়ার এছাড়া মহানগরীর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
সমাবেশে বক্তারা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ফ্যাসিবাদী সরকার হিসাবে আখ্যায়িত করে অনতিবিলম্বে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার শাহাদাত হোসেন, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিন জেলা বিএনপির সংগ্রামী আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদল নেতা কর্মীদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যহারের দাবি জানান এবং দলকে সংগঠিত করার মাধ্যমে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহব্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মোঃ নাজিম উদ্দিন বলেন, এই সরকার কেবল স্বৈরাচার নয় ফ্যাসিবাদী সরকার। খালেদা জিয়াকে অনতিবিলম্বে বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। খালেদ জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারের কোন প্রকার গাফিলতি মেনে নেয়া হবে না। যদি খালেদা জিয়ার কিছু হয় তাহলে হেফাজতের মত সারা দেশে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হবে। সারা দেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। রক্তের উপর দাঁড়িয়ে এই সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়া হবে। সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন আপনারা আর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। অনতিবিলম্বে ডাঃ শাহাদাতসহ সকল নেতা কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এ বিষয়ে জানতে ডিসি স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুককে ফোন করা হলে তিনি এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিষয়টি দেখে ব্যাবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির সাবেক সহদপ্তর সম্পাদক ও বর্তমান আহব্বায়ক কমিটির সদস্য ইদ্রিস আলী জানান, বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় দেড়শ নেতা কর্মী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও মাস্ক ব্যবহার না করার প্রশ্নে তিনি বলেন , অনেকেই হয়ত ছবি তোলার জন্য মাস্ক খুলে রেখেছিল। মঞ্চে উপবিষ্ট অথিতিদের মুখেও মাস্ক ছিলনা ও শারীরিক দুরত্ব বজায় ছিলনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান । স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি কেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন প্রেস ক্লাবের সিট যেভাবে ছিল সেইভাবে নেতা কর্মীরা বসেছে। এতে দুরত্ব বজায় রাখার সুযোগ নেই। তাছাড়া এতো নেতা কর্মী আসবে তা জানা ছিল না। মোট কথা আপনারা সরকারী আদেশ অমান্য করে সমাবেশ করেছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন কিসের সরকারি আদেশ?