এম.এইচ মুরাদঃ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ২৩নং উত্তর পাঠানটুলি ওয়ার্ড এলাকার অসহায় দুস্থ এবং কর্মহীন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে ইফতার ও সেহেরি সামগ্রী বিতরণ করেছেন মানবতাবাদী সংগঠন রওশন আরা খানম ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) রওশন আরা খানম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই ইফতার ও সেহেরি সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা উপলক্ষে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ২৩নং উত্তর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য ও রওশন আরা খানম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাবেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রওশন আরা খানম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাবেদকে সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘কোনো বৈশ্বিক মহাবিপর্যয় সরকার বা সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে শতভাগ মোকাবেলা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এই সংকট মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সামাজিক শক্তি ও বিত্তবান শ্রেনীর সক্ষম ব্যক্তিদের নিবেদিত হতে হবে। রওশন আরা খানম ফাউন্ডেশনের মতো মানবিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো পাশে থাকলে এইরকম শত দুর্যোগে সবাই সাহস নিয়ে এগিয়ে যাওয়া অনেকটা সহজ হয়ে যায়। সমবেত প্রচেষ্টায় এই সংকট মোকাবেলা সম্ভব হবে। আর আমরা দলমত নির্বিশেষে সবাই একসাথে কাজ করে ইনশাআল্লাহ আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা লকডাউনে কর্মহীন মানুষদের জন্য প্রতি পরিবারকে ২৫০০ টাকা করে মোট ৩৮ লাখ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করছেন। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছেন। করোনা সংকট শুরু থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা দিতে কর্মহীন মানুষের পাশে আছে। মেয়র রেজাউল সকলকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করার অনুরোধ জানান, যাতে করে তিনি এইভাবে দেশবাসীর সেবা করতে পারেন।’
সভাপতির বক্তব্যে রওশন আরা খানম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ বলেন,’গত বছরের মার্চ মাস থেকে অর্থাৎ করোনা দূর্যোগের শুরু থেকে আমি আমার ওয়ার্ডের অসহায়, কর্মহীন মানুষের পাশে থেকে তাদের মাঝে কয়েক ভাগে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত এবং আমার নিজের তরফ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আবারো নতুন করে উপহার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকেও রওশন আরা খানম ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ইফতার ও সেহেরি সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় কয়েক হাজার পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। আমার ওয়ার্ডে যারা উপহার পাওয়ার যোগ্য কিন্তু এখনো উপহার পায় নাই ইনশাআল্লাহ অল্প সময়ের মধ্যে তাদের কাছে উপহার সামগ্রী পৌঁছে যাবে। রওশন আরা খানম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই ওয়ার্ডের অসহায় মানুষের পাশে থেকে আজকে ইফতার ও সেহেরি সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে এজন্য অত্র সংগঠনটিতে যারা আমার সাথে জড়িত আছে তাদের প্রত্যেকের প্রতি আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এই সংগঠনটির প্রতিটি সম্মানিত কর্মকর্তা ও সদস্যদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি এইজন্যই যে তারা আজকে মানবিক চিন্তাধারা থেকে অসহায় মানুষদের পাশে দাড়িয়েছেন। আমি মনে করি এরকমভাবে দেশের মানবিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসলে করোনা মহামারীর মতো সংকট গুলো মোকাবিলা করতে সরকারের পক্ষে অনেকটা সহজ হয়। আমি আশা করবো রওশন আরা খানম ফাউন্ডেশনের মতো দেশের সকল মানবিক সংগঠনগুলো সরকারের পাশাপাশি এই কঠিন সংকটের সময় মানুষের পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতা করে যাবে এবং মানুষের মনে সাহস যুগিয়ে এই সংকট থেকে উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন রওশন আরা খানম ফাউন্ডেশনের সকল কর্মকর্তা- সদস্যবৃন্দরা সহ অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আপামর জনসাধারণ।