স্টাফ রিপোর্টারঃ
গত মার্চ মাস থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। করোনার সংক্রমণের হার এখনও বেশি। মৃত্যুর হারও রেকর্ড অতিক্রম করছে প্রতিদিন। পরপর গত দুদিন করোনায় সংক্রমিত হয়ে ১০১ জন করে মারা গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও টানা দুই সপ্তাহের লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করেছে। খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কমপক্ষে তিন সপ্তাহের লকডাউন প্রয়োজন। তাই লকডাউন আপাতত আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, করোনার সংক্রমণ এখনো বেশি। তাই লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়তে পারে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ১৯ এপ্রিলের সভায়।
জানা গেছে, আগামী ১৯ এপ্রিল সোমবার এ সংক্রান্ত একটি শীর্ষ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভার মতামত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২২ এপ্রিল থেকে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে। চলমান ৮ দিনের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হবে ২১ এপ্রিল রাত ১২টায়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটি ও সমাজ সচেতন মহল থেকে লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ আছে। তবে সেটি হবে প্রকৃত লকডাউন। তা যদি বাস্তবায়ন করা যায় তবেই সংক্রমণের হার কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেলে আগামী ২০ এপ্রিল তা জানা যাবে। একইদিন এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করতে পারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এর আগে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাত দিনের জন্য কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নির্দেশনা দেয় সরকার ৫ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর করা হয়। ১১ এপ্রিল মেয়াদ শেষ হলে ১২ ও ১৩ এপ্রিলও নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত করা হয়।