নিউজ-ডেস্ক:
ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে পরিণত হচ্ছে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে মোট ৯ লাখের বেশি যাত্রী চলাচল করেছে এ বিমানবন্দর দিয়ে। বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চট্টগ্রাম অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রী ছিল ৫ লাখ এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ৪ লাখের বেশি। একসময় চট্টগ্রামের শাহ আমানতে বেশকিছু বিদেশি এয়ারলাইন্স চলাচল করতো।
গত বছর থেকে কোনো বিদেশি এয়ারলাইন্স আর আসছে না। গত আড়াই বছরে চট্টগ্রাম থেকে আন্তর্জাতিক রুটে চার বিদেশি বিমান সংস্থা কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। ফলে দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলো পর্যাপ্ত যাত্রী পরিবহনের সুবিধা পাচ্ছে।
তারপরও প্রতি বছর আন্তর্জাতিক যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে শাহ আমানত বিমানবন্দরে। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশীয় এয়ারলাইন্সের জন্য এটি একটি ভালো সংবাদ।
এ বিষয়ে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম গনমাধ্যমে বলেন, এভিয়েশন খাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবের পরও দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলো ভালো করছে। বিশেষ করে বিদেশি কয়েকটি এয়ারলাইন্স বিদায় নেয়ার কারণে শাহ আমানত বিমানবন্দর দেশীয় এয়ারলাইন্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের প্রায় সবগুলো জেলায় মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসী শ্রমিক রয়েছে। অত্র এলাকার প্রবাসীরা ঢাকার চেয়ে সরাসরি চট্টগ্রামের ফ্লাইটে চলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এসব নানা কারণে শাহ আমানত গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে পরিণত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারোয়ার-ই-জাহান গনমাধ্যমে বলেন, একসময় ছোট আকৃতির উড়োজাহাজ চললেও বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে ড্রিমলাইনার, বোয়িং ৭৭৭ এর মতো বড় ফ্লাইট চলাচল করছে।
যদিও অবকাঠামোগত উন্নয়ন পর্যাপ্ত নয়।
যাত্রী চাহিদা বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান হারে চাহিদা বাড়তে থাকলে চলতি বছর শেষে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী ১০ লাখ ছাড়াবে।
উল্লেখ্য, ইউএস-বাংলা, রিজেন্ট এয়ার, নভোএয়ার এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চট্টগ্রাম থেকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহন করছে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চারটি বিমান সংস্থা- রোটানা জেট, থাই স্মাইল, মালিন্দো এয়ার ও ওমান এয়ার চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট চালানো বন্ধ করেছে। এরপরও আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রী বাড়ছে।